বয়সের ছাপ দূর করার ঘরোয়া উপায়
ত্বকে যত কম কেমিক্যাল ব্যবহার করবেন, ত্বক ততই ভালো থাকবে। রূপচর্চার কাজে সব সময় প্রাকৃতিক উপাদান বেছে নিতে হবে। চেহারায় বয়সের ছাপ পড়তে দিতে না চাইলে ব্যবহার করতে হবে কেমিক্যালমুক্ত উপাদান। যখন আপনি ঘরোয়া উপাদানে যত্ন নেওয়া শুরু করবেন, এর সুফল কিছুদিন পরেই টের পাবেন।
অনেকে আছেন, যাদের ত্রিশেই দেখতে চল্লিশের মতো লাগে কিংবা পঁচিশেই পয়ত্রিশ। কিন্তু আপনি যদি চান আপনার চেহারায় বয়সের ছাপ না পড়ুক তাহলে কিছু নির্দিষ্ট উপাদানে নিতে হবে ত্বকের যত্ন। বলিরেখা দূর করে আপনাকে ঝলমলে রাখতে কাজ করবে কিছু পরিচিত উপাদান। সেইসঙ্গে ত্বকে পৌঁছে যাবে পর্যাপ্ত পুষ্টি। চলুন জেনে নেওয়া যাক বয়সের ছাপ দূর করার ঘরোয়া উপায়-
ত্বক ভালো রাখতে আমলকির ব্যবহার
রূপচর্চার কাজে যেসব জিনিস কার্যকরী তার ভেতরে অন্যতম হলো আমলকি। এটি শুধু ত্বকই নয়, চুলের যত্নেও সমান কার্যকরী। শরীরে জমা দূষিত পদার্থ বের করে দিতে কার্যকরী এই আমলকি। এতে থাকা প্রাকৃতিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকে বিভিন্ন ধরনের ক্ষতি সারাতে কাজ করে। যে কারণে রূপচর্চার উপাদান হিসেবে আমলকি রাখলে তা আপনার চেহারায় বয়সের ছাপ পড়তে দেবে না।
নারিকেল তেল ব্যবহার করবেন যে কারণে
সাধারণ নারিকেল তেল নয়, ভার্জিন কোকোনাট অয়েল ব্যবহার করবেন ত্বকের যত্নে। কারণ এই তেলের সবটুকু গুণ বজায় থাকে। সাধারণ নারিকেল তেল উত্তাপের সংস্পর্শে এলে অনেক পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যায় এবং যে কারণে এর কার্যকারিতাও কমে যায়। ত্বকের যত্নে ভার্জিন কোকোনাট অয়েল ব্যবহার করলে তা আপনার চেহারায় উজ্জ্বলতা ধরে রাখবে।
নিমপাতা ব্যবহারের উপকারিতা
ওষধিগুণ সম্পন্ন ভেষজ হলো নিমপাতা। এটি ত্বককে পরিষ্কার করে এবং সেইসঙ্গে ত্বকের যেকোনো সংক্রমণও প্রতিরোধ করে। নিয়মিত নিমপাতা ব্যবহার করলে ত্বকে ব্রণের সমস্যা দূর হয়। ত্বকে কোনো সমস্যা দেখা দিলে সেখানে ব্যবহার করতে পারেন নিমের তেল বা নিমের পাউডার।
হলুদে হোক ত্বকের যত্ন
ত্বকের যত্নে হলুদের ব্যবহার নতুন নয়। হলুদের উপকারিতা অনেক। এটি নানাভাবে ত্বকের জন্য কাজ করে থাকে। হলুদে থাকে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান যা ত্বকের দাগ-ছোপ, ব্রণ ইত্যাদি সমস্যা দূর করে। সেইসঙ্গে ত্বককে সুস্থ ও উজ্জ্বল রাখতেও হলুদের জুড়ি নেই। এটি চেহারায় বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না। যে কারণে আপনি ত্বকের যত্নে নিয়মিত হলুদ ব্যবহার করলে আপনার ত্বকে বজায় থাকবে তারুণ্য।
ত্বকের যত্নে অ্যালোভেরা
সংবেদনশীল ত্বকের ক্ষেত্রে অ্যালোভেরা বেশি কার্যকরী। সেইসঙ্গে এটি কাটা বা পোড়া দাগ দূর করতেও দারুণ কাজ করে। অ্যালোভেরা ত্বকে প্রাকৃতিক ময়শ্চারাইজার বা ফেসপ্যাক হিসেবেও দুর্দান্ত। অ্যালোভেরায় আছে প্রদাহ বিরোধী বৈশিষ্ট্য, ত্বকের জ্বালাপোড়া কমিয়ে ত্বক শীতল করতে কার্যকরী এই উপাদান। নিয়মিত অ্যালোভেরা ব্যবহার করলে ত্বকে বয়সের ছাপ পড়ে না।