আমের খোসা দিয়ে রূপচর্চা
কেবলই আমই নয়, আমের খোসাও অত্যন্ত উপকারী। কারণ আমের খোসা অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ, এটি ফ্রি র্যাডিক্যালের কারণে সৃষ্ট ক্ষতির আশঙ্কা দূর করে। ফলে মুখে সহজে বয়সের ছাপ পড়ে না। আমের খোসা দিয়ে রূপচর্চার কথা অনেকেরই অজানা। এটি ফেসপ্যাক বা স্ক্রাব হিসেবে মুখে ব্যবহার করলে ত্বক প্রাকৃতিকভাবেই উজ্জ্বল হবে।
গরমে ত্বকের যত্নের জন্য আমের খোসা হতে পারে একটি সহজ ও কার্যকরী উপায়। এই সময়ে আম বেশ সহজলভ্য। আম খাওয়া হলে এর খোসা আমরা ফেলে দেই। কিন্তু ফেলে না দিয়ে এটি ব্যবহার করা যাবে রূপচর্চায়। বিশেষ করে গরমে যাদের ত্বক তৈলাক্ত ও আঠালো হয়ে থাকে, তাদের জন্য এটি বেশ উপকারী।
ওপেন পোরস বন্ধ করে
যাদের মুখে বড় বড় ছিদ্র আছে তারা আমের খোসার সাহায্য নিতে পারেন। আমের খোসা ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করে নিন। ঠান্ডা হলে সেই খোসা বের করে মুখে ম্যাসাজ করুন। এটি ত্বককে শিথিল করে এবং ছিদ্র সঙ্কুচিত করতে সাহায্য করে। এছাড়াও এভাবে ব্যবহার করলে মুক্তি মিলবে ব্রণের সমস্যা থেকেও। প্রতিদিন ফেসিয়াল ম্যাসাজের জন্য আমের খোসা ব্যবহার করতে পারেন।
ট্যানিং দূর করে
গরমে অতিরিক্ত রোদের কারণে ত্বকে পোড়াভাব হতে পারে। এই সময়ে অনেকেরই এমন সমস্যা দেখা যায়। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে ব্যবহার করতে পারেন আমের খোসা। প্রথমে আমের খোসা পিষে তাতে এক চামচ দই মিশিয়ে নিন। ফেসপ্যাকটি মুখে লাগিয়ে অপেক্ষা করুন মিনিট পনেরো। এভাবে টানা দশদিন ব্যবহার করলে ট্যানিং দূর হবে।
দাগ দূর করে
মুখের দাগ-ছোপ দূর করে উজ্জ্বলতা বাড়াতে সাহায্য করে আমের খোসা। আমের খোসা ও মধু দিন। এবার এটি মুখে আলতো করে ঘষুন। মিনিট পাঁচেক এভাবে রেখে দিন। এরপর পানি দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে নিন। গোসল করার আগে এই রুটিন মেনে চলুন। এভাবে এক সপ্তাহ ব্যবহারের পর চেহারায় পার্থক্য দেখতে পাবেন। ত্বক অনেকটাই উজ্জ্বল হয়ে উঠবে।
আমের খোসাে স্ক্রাব তৈরি করবেন যেভাবে
আমের খোসা ভালোভাবে ব্লেন্ড করে কফি পাউডার মিশিয়ে নিন। এরপর মিশ্রণটি ত্বকে ব্যবহার করুন। ত্বক শুষ্ক হলে এর সঙ্গে কয়েক ফোঁটা নারিকেল তেল মিশিয়ে নিতে পারেন। যেদিন স্ক্রাব করবেন সেদিন ত্বকে সাবান বা অন্য ক্লিনজার লাগাবেন না।