পুরুষের জন্য বিয়ের সঠিক বয়স কোনটি?
বিয়ের সঠিক বয়স কোনটি সেই হিসাবে যাওয়া মুশকিল। কারণ সবার পারিবারিক অবস্থা, পরিস্থিতি, মানসিকতা একই রকম থাকে না। পরিবেশ-পরিস্থিতিভেদে অনেক পরিবর্তনই থাকতে পারে। তবে এটি ঠিক যে, একটা বয়সের পর পরিবার থেকে বিয়ের জন্য চাপ আসতে থাকে। মেয়েদের ক্ষেত্রে এটি বেশি হলেও ছেলেরা যে একেবারে চাপমুক্ত থাকে তা কিন্তু নয়।
সঠিক বয়সে বিয়ে করলে পুরুষের আয়ু বেড়ে যায়, এমনটাই বলছে গবেষণা। এই আয়ু বৃদ্ধির অর্থ হচ্ছে সুস্থভাবে দীর্ঘ জীবন যাপন করা। অনেকে মনে করেন, পুরুষেরা একটু দেরিতে বিয়ে করলেই বুঝি ভালো। উপার্জন শুরু করে নিজেকে একটু গুছিয়ে বিয়ে করার কথাই ভাবেন বেশিরভাগ পুরুষ।
পুরুষ এবং নারীর ক্ষেত্রে বিয়ের সঠিক বয়স একই ধরা হয় না। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে পুরুষের চেয়ে নারীর বিয়ে তুলনামূলক কম বয়সে হয়। নারীর ক্ষেত্রে পড়াশোনা করতে করতে বিয়ের ঘটনা অনেক থাকলেও পুরুষের ক্ষেত্রে এমন উদাহরণ খুবই কম।
নারী কিংবা পুরুষের ক্ষেত্রে ত্রিশের আগেই বিয়ে করাটা সঠিক বলে ধরে নেওয়া হয়। অনেকে আবার আজীবন একা থাকার সিদ্ধান্ত নেন। বিয়ের সঠিক বয়স নিয়ে কোন ধরনের পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয় প্রত্যেক নারী ও পুরুষকে, এসব খতিয়ে দেখতেই যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় এক গবেষণা চালিয়েছে।
বিয়ে জীবনের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি সিদ্ধান্ত। একজন মানুষের সঙ্গে বাকি জীবন কাটানোর সংকল্প নিয়েই শুরু হয় বিয়ের যাত্রা। মানুষটি আমাদের জন্য সঠিক কি না তা বুঝতেই কেটে যায় অনেকটা সময়। অভিভাবকেরা বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকলে মেয়েদের মতো ছেলেদেরও বিভিন্ন সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়।
হাভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের করা বিয়ে নিয়ে এই গবেষণার মূল বিষয় ছিল সম্পর্কের ধরন। কোন বয়সে বিয়ে করলে কতটা সুখি হয় দাম্পত্য। তবে এর বাইরে আরেকটি বিষয় ছিল, সেটি হলো জীবনধারা। বিজ্ঞান বলছে, যে নিজের যাপনের ধরন নিয়ে যতটা সন্তুষ্ট হবে, তার দীর্ঘ জীবন ততটাই সহজ হবে।
গবেষণা চালাতে গিয়ে দেখা গেছে, নারীর মতো পুরুষেরও কম বয়সে বিয়ে করলে সুখে থাকার সম্ভাবনা বেশি। এর কারণও জানিয়েছেন গবেষকরা। তাদের মতে, বয়স যত কম থাকবে, তত বেশি থাকবে মনের মতো সঙ্গী পাওয়ার সম্ভাবনা। তাই পুরুষের ক্ষেত্রে ২৫ এর মধ্যে বিয়ে হলেই মনের মতো সঙ্গী পাওয়ার সুযোগ থাকে বেশি।
সঙ্গী মনের মতো হলে মানসিক চাপ কম থাকবে। জীবন হবে গতিশীল ও ছন্দময়। জীবন নিশ্চিন্ত ও সুখের হলে বিয়ের সম্পর্ক ভাঙার দরকার পড়বে না। সংসারে সুখ থাকলে সুস্থভাবে জীবনযাপন সহজ হবে। তাই পুরুষদের ২৫ বছর বয়সের মধ্যেই বিয়ে করার পরামর্শ দেওয়া হয় এই গবেষণায়।