হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায় যেসব খাবার
হৃদরোগ থেকে বাঁচতে সবচেয়ে বেশি খেয়াল রাখতে হবে খাবারের দিকে। বিভিন্ন খাবারের কারণে বাড়তে পারে হৃদরোগের ঝুঁকি। আমরা প্রতিদিন যেসব খাবার খাই সেগুলোর মধ্যে কোনো কোনো খাবার অজান্তেই ডেকে আনে হৃদরোগ। আর এই রোগের কারণে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। তাই সুস্থ থাকার জন্য আপনাকে হতে হবে সচেতন। চলুন জেনে নেওয়া যাক কোন খাবারগুলো হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে-
বাইরের খাবার
বাইরে থেকে যেসব মুখরোচক খাবার কিনে এনে খান তাতে প্রচুর লবণ, স্নেহজাতীয় পদার্থ, চিনি থাকে। ডুবো তেলে ভাজা খাবার, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, চিকেন ফ্রাই এ ধরনের খাবার খেতে যতটা ভালোলাগুক না কেন, যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলুন। এগুলো আপনার জিহ্বাকে সন্তুষ্ট রাখলেও শরীরের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। বাড়ে উচ্চরক্তচাপ ও হৃদরোগের আশঙ্কা।
ফলের রসের সঙ্গে চিনি
স্বাস্থ্যকর পানীয়গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো ফলের রস। এটি আমাদের শরীরের জন্য নানাভাবে উপকার বয়ে আনে। কিন্তু এর সঙ্গে যদি আপনি চিনি মিশিয়ে খেতে চান, তবে মুশকিল। বাড়িতে ফলের রস তৈরি করে খান। বাইরে থেকে কিনে খাওয়া বন্ধ করুন। বাড়িতে যেকোনো ফলের রসের সঙ্গে চিনি মিশিয়ে খাওয়া বাদ দিন। এতে উপকারের বদলে অপকারই হয় বেশি। বাড়ে হৃদরোগের ঝুঁকি।
দানাশস্যের সঙ্গে শর্করা
আমাদের প্রতিদিনের খাবারে দানাশস্য থাকে। এটি খাওয়া ক্ষতিকর না হলেও এর সঙ্গে শর্করাজাতীয় খাবার বেশি খেলে দেখা দিতে পারে ইনফ্ল্যামেশন। সেখান থেকে বাড়ে হৃদরোগের ঝুঁকি। তাই শর্করা গ্রহণের ক্ষেত্রে হতে হবে সচেতন।
পটেটো চিপস
পটেটো চিপস খেতে কে না পছন্দ করে! তবে এই চিপসে ক্যালরি, সোডিয়াম, স্নেহজাতীয় পদার্থ থাকে অনেক বেশি। তাই পটেটো চিপস খেতে অত্যন্ত লোভনীয় হলেও এটি হৃদযন্ত্রের জন্য মোটেও ভালো নয়। তাই হৃদরোগ থেকে বাঁচতে চাইলে পটেটো চিপস খাওয়ার অভ্যাস ছাড়ুন।
টমেটো কেচাপ
ভাজাভুজি ধরনের খাবার কি আর এমনি খেতে ভালোলাগে! সেজন্য সঙ্গে থাকা চাই পছন্দের কেচাপ। কিন্তু আপনি যদি কেচাপ বা সস বেশি খান তবে শরীরে সোডিয়াম পটাশিয়ামের ভারসাম্য ব্যহত হতে পারে। এর কারণ হলে টমেটো কেচাপে থাকে প্রচুর সোডিয়াম। তাই খেতে হলে অল্পস্বল্প খান, খুব বেশি কখনোই খাবেন না।
হোয়াইট ব্রেড
হোয়াইট ব্রেড অনেকেরই সকালের নাস্তায় থাকে। কিন্তু এটি খেলে বাড়ে লতা, হৃদরোগ ও ডায়াবেটিসসহ আরও অনেক রোগের আশঙ্কা। কারণ এতে স্টার্চের পরিমাণ থাকে অনেক বেশি। এই ব্রেড খেলে হতে পারে গ্যাস, পেট ফাঁপা, কোষ্ঠকাঠিন্য, অ্যাসিডিটির মতো সমস্যা। এটি সহজে পরিপাক হয়ে যায় বলে রক্তে শর্করার মাত্রাও দ্রুত বেড়ে যায়।