গরমে আরামদায়ক ঘুমের জন্য যা করবেন
সারাদিনের ক্লান্তি কাটাতে রাতে পর্যাপ্ত ও নির্বিঘ্ন ঘুম প্রয়োজন। কোনো কারণে ঘুমে বিঘ্ন ঘটলে বা পর্যাপ্ত ঘুম না হলে তার প্রভাব পড়ে শরীর ও মনে। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতিদিন সাত-আট ঘণ্টা ঘুমানো জরুরি। এদিকে গরমের কারণে অনেকের ঘুম আরামদায়ক হয় না। যারা কিছুটা সামর্থ্যবান, তারা কিনে আনছেন এয়ার কন্ডিশন। কিন্তু তাতে শরীর ও পরিবেশের ঝুঁকি আরও বৃদ্ধি পায়। এয়ার কন্ডিশন ছাড়াও এই গরমে আরামদায়ক ঘুম আপনি পেতে পারেন। কীভাবে? চলুন জেনে নেওয়া যাক-
ঘরে পরিবর্তন
ঘুমের সময় শরীরের তাপমাত্রা খানিকটা কম হওয়া দরকার। শোবার ঘরের তাপমাত্রা ১৬-২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকাই উত্তম। বাড়ির মধ্যে যে কক্ষটিতে রোদ কম পড়ে, গরমের সময়ে সেটি শোবার ঘর হিসেবে ব্যবহার করুন। এরকমটা যদি সম্ভব না হয় তাহলে সেক্ষেত্রে করা যেতে পারে আরও কিছু কাজ। চলুন জেনে নেওয়া যাক-
ঘর অন্ধকার রাখা
গরমের সময়ে শোবার কক্ষকে অন্ধকার রাখা গেলে গরম অনেকটাই কম লাগবে। এসময় জানালা-দরজায় এমন পর্দা ব্যবহার করুন যার ভেতর দিয়ে আলো কম প্রবেশ করে। ভারী ও মোটা পর্দা এসময় ব্যবহার করলে উপকার পাবেন। পর্দার দুটি ভাগ থাকলে প্রয়োজন মতো ছড়িয়ে বা গুটিয়ে রাখতে পারবেন।
বাতাস চলাচল
ঘরে পর্যাপ্ত বাতাস চলাচল না করলে স্বস্তি মিলবে না। গরমের বেশিরভাগ সময়ে দরজা-জানালা খোলা রাখার চেষ্টা করুন। বিকেলের দিকে জানালা খুলে রাখার চেষ্টা করুন। মশা বা অন্যান্য পোকার উপদ্রব থাকলে জানালায় নেট লাগিয়ে নেওয়া যেতে পারে। দুপুরের দিকে জানালা খোলা রাখলে আলো রোধ করার জন্য ভারী পর্দা টেনে দিতে পারেন।
শোবার ঘরের সাজ
শোবার ঘরের আসবাব যতটা কম রাখা যায়, ততই ভালো। এতে ঘরের ভেতরে আলো চলাচল বাড়বে। বিছানায় বাড়তি বালিশ থাকলে তা সরিয়ে ফেলুন। বিছানায় হালকা রঙের সুতির চাদর ব্যবহার করুন। ঘরের সাজে রাখুন কিছু ইনডোর প্লান্ট। এতে দেখতে সুন্দর লাগবে এবং ঘরের পরিবেশও সতেজ থাকবে।
আলো নিভিয়ে রাখুন
প্রয়োজন না থাকলে ঘরের বাতি বন্ধ করে রাখুন। এতে চোখে প্রশান্তি লাগবে এবং ঘরের পরিবেশও ঠান্ডা থাকবে। বিশেষ করে ঘুমাতে যাওয়ার সময় ঘর যেন অন্ধকার থাকে, সেদিকে খেয়াল রাখুন।
নিজেকে শীতল রাখবেন যেভাবে
গরমে নিজেকে ভেতর থেকে শীতল রাখার জন্য কিছু কাজ করতে হবে। প্রতিদিন ঘুমাতে যাওয়ার আগে গোসল করে নিতে পারেন। এতে আরাম লাগবে। নিয়মিত মেডিটেশন, ধর্মীয় প্রার্থনা করুন। এতে মানসিক প্রশান্তি থাকবে। অস্থিরতা কম হবে। ল্যাভেন্ডারের মতো এসেনসিয়াল তেল বালিশের তুলোয় দিয়ে রাখলে ঘুম ভাল হতে পারে। চা, কফি খুব বেশি খাবেন না। হালকা রঙের সুতির পোশাক পরবেন। হাতের কাছেই পানির বোতল রাখুন। পর্যাপ্ত পানি পান করলে তা শরীরকে ভেতর থেকে ঠান্ডা রাখতে কাজ করবে।