কালো কিশমিশ খেলে কী হয়?
পায়েস থেকে আইসক্রিম, কেক কিংবা বিস্কুট, নানা স্বাদের ডেজার্টে থাকে কিশমিশ। এটি অনেকের কাছেই পছন্দের। কিশমিশ শুধু খেতেই ভালো নয়, এটি ভীষণ উপকারীও। কিশমিশে আছে ভিটামিন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস, পলিফেনল ও ফাইবার। কিশমিশ নানা রঙের হয়। তবে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত ও উপকারী সম্ভবত কালো কিশমিশই।
টাটকা আঙুর দিয়ে তৈরি করা হয় কালো কিশমিশ। যে কারণে অন্যান্য কিশমিশের থেকে এই কিশমিশ খেতে বেশি ভালো। যেসব খাবারে কালো কিশমিশ ব্যবহার করা হয় সেগুলোতে অতিরিক্ত চিনি কিংবা প্রিজারভেটিভের প্রয়োজন হয় না। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে কালো আঙুর ভেজানো এক গ্লাস পানি পান করলে অনেক উপকার পাবেন। জেনে নিন কালো আঙুরের আরও কিছু উপকারিতা সম্পর্কে-
প্রোটিনের ঘাটতি মেটায়
কালো কিশমিশ খেলে মিলবে প্রচুর প্রোটিন। এটি আমাদের শরীরের জন্য দরকারি একটি উপাদান। আমাদের হাড়, পেশি ও তরুনাস্থির বিকাশে সাহায্য করে প্রোটিন। শরীরের পিএইচ ভারসাম্য বজায় রাখতেও ভূমিকা রাখে কালো কিশমিশ। শরীরের প্রয়োজনীয় জৈব-রাসায়নিক ক্রিয়া নিয়ন্ত্রণে ও তরলের ভারসাম্য বজায় রাখতে কাজ করে শুকনো এই ফল।
দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখে
আমাদের দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতেও কাজ করে কালো আঙুর। এতে থাকা ভিটামিন সি, ভিটামিন এ, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস, পলিফেনল, ফ্ল্যাভিনয়েড ইত্যাদি উপকারী উপাদান চোখকে ক্ষতিকর সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করে। চোখে ছানি পড়া, গ্লুকোমা, ক্ষীণ দৃষ্টিশক্তি ইত্যাদি সমস্যা থেকে বাঁচতে প্রতি রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে এক গ্লাস গরম দুধের সঙ্গে কালো কিশমিশ মিশিয়ে খেতে পারেন।
ব্রণ দূর করে
ত্বকের ধরন তৈলাক্ত হলে তাতে ব্রণের সমস্যা বেশি হয়। আমাদের ত্বকের ছিদ্রের মাধ্যমে ময়লা, ক্ষতিকর পদার্থ বের হয়ে আসে। কিন্তু কোনো কারণে লোমকূপ বন্ধ হয়ে গেলে সেগুলো বের হতে পারে না। তখন দেখা দেয় ব্রণসহ নানা সমস্যা। আপনি যদি নিয়মিত কালো কিশমিশ খান তবে তা আপনার শরীরে জমে থাকা ক্ষতিকর পদার্থ বের করে দিতে কাজ করবে। যে কারণে ত্বক পরিষ্কার হবে সহজেই। বাড়ে শরীরে রক্ত চলাচলও। শরীরে ডিটক্সিফিকেশন ঠিকভাবে হলে ব্রণ দূর হয়।
পিরিয়ডের সমস্যায় ভুগলে
অনেক নারী শরীরে রক্ত কম থাকার কারণে পিরিয়ডের সমস্যায় ভোগেন। কালো কিশমিশ নিয়মিত ভিজিয়ে খেলে তা তাদের জন্য উপকারী হতে পারে। কালো কিশমিশে আছে প্রচুর আয়রন ও ভিটামিন বি-কমপ্লেক্স। কালো কিশমিশ ভেজানো পানি খেলে তা শরীরে প্রয়োজনীয় পুষ্টি ও খনিজ পৌঁছে দেয়। এছাড়াও এটি ত্বকের যেকোনো কালো দাগ-ছোপ দূর করতেও কাজ করে।
চুল পড়া বন্ধ করে
চুল পড়ার সমস্যা থাকলে তা বন্ধ করতে নিয়মিত কালো কিশমিশ খাওয়ার অভ্যাস করুন। এটি চুলের গোড়া শক্ত করে এবং চুল পড়া বন্ধ করে। এতে থাকে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা শরীরের ডিটক্সিফিকেশনে সাহায্য করে। এ কারণে ত্বক ও চুল ভালো থাকে। কালো কিশমিশে থাকা আয়রন, ভিটামিন, ক্যালসিয়াম শরীরের সংযোগকারী টিস্যুর গঠনে সাহায্য করে।