রোজায় বেল খাওয়ার উপকারিতা
চলছে রমজান মাস সেইসঙ্গে তীব্র গরম। সারাদিন পানাহার থেকে বিরত থাকার ফলে খুব স্বাভাবিকভাবেই আপনি ক্লান্ত বোধ করবেন। ইফতারে তাই পর্যাপ্ত ফল, ফলের রস, শরবত ইত্যাদি রাখা জরুরি। সারাদিন রোজা রেখে ইফতারে ভাজাপোড়া খাবার এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন। এর বদলে রাখুন স্বাস্থ্যকর সব ফল।
গরমের সময়ের একটি উপকারী ফল হলো বেল। ইফতারে বেলের তৈরি শরবত খেলে তা নানাভাবে আপনার উপকার করবে। রোজায় হজমের সমস্যা, পেটে গ্যাস জমে থাকাসহ নানা সমস্যায় ভুগছেন যারা, তারা প্রতিদিনের ইফতারে এই ফল রাখতে পারেন। রোজায় বেল খেয়ে সুস্থ থাকুন। চলুন জেনে নেওয়া যাক এই ফলের উপকারিতা-
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে
রোজায় সময়ে পেট পরিষ্কার রাখা কঠিন হয়ে পড়ে। কারণ এসময় বেশিরভাগ মানুষই মুখরোচক খাবার খেয়ে থাকেন। ডুবো তেলে ভাজা কিংবা অতিরিক্ত মসলাদার সেসব খাবার হজমে সমস্যার সৃষ্টি করে। যে কারণে পেট ভালোভাবে পরিষ্কার হয় না। ফলস্বরূপ দেখা দেয় কোষ্ঠকাঠিন্য। এসব সমস্যা সমাধানে কাজ করবে বেল। শুধু রোজায় নয়, বছরের অন্যান্য সময়েও এটি খাওয়ার অভ্যাস করুন। এতে কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পাবেন।
আলসারের সমস্যায়
রোজায় গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা বেড়ে যায়। সেখান থেকে আলসার দেখা দেওয়াও অস্বাভাবিক নয়। এই সমস্যা সমাধানে বেশ কার্যকরী হলো পাকা বেলের শাঁস। সপ্তাহে তিনদিন খেতে পারেন বেলের শরবত। এছাড়াও বেলের পাতা ভিজিয়ে রেখে সেই পানি পান করলেও মিলবে উপকার।
ডায়াবেটিস কমাতে কাজ করে
যাদের ডায়াবেটিসের সমস্যা আছে, তারা নিয়মিত খেতে পারেন বেল। কারণ ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বিশেষ উপকারী হলো মিষ্টি স্বাদের এই ফল। এতে থাকে মেথানল নামক এক ধরনের উপাদান। যা ব্লাড সুগার কমাতে দারুণ কার্যকরী। তবে ডায়াবেটিস রোগীরা শরবত না খেয়ে শুধু বেল খাবেন।
আর্থ্রারাইটিস কমাতে
বর্তমানে আর্থ্রারাইটিসের সমস্যা বেশ পরিচিত। শরীরের বিভিন্ন জয়েন্টে ব্যথা বোধ করেন বেশিরভাগ মানুষই। এই সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে বেল। নিয়মিত বেল খেলে আর্থ্রারাইটিসের সমস্যা কমে অনেকটাই।
শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে
রোজায় ক্লান্তি আসবেই। এক্ষেত্রে খেতে হবে শক্তি বাড়িয়ে তোলে এমন সব খাবার। বেল কিন্তু শক্তি বাড়াতেও দারুণভাবে কাজ করে। প্রতি ১০০ গ্রাম বেল থেকে পাবেন ১৪০ ক্যালোরি। সেইসঙ্গে এটি মেটাবলিক স্পিড বাড়াতেও কাজ করে। তাই প্রতিদিনের ইফতারে রাখুন বেল।