সহকর্মীদের প্রিয় হওয়ার সহজ ৬ উপায়
অফিসের পরিবেশে কাজ করা আরও শান্তিপূর্ণ হতে পারে যদি আপনি খুব গুরুত্বপূর্ণ ছোট ছোট কয়েকটি কাজ করেন। সবচেয়ে কঠিন পরিবেশেও স্বচ্ছন্দে কাজ করার জন্য সহকর্মীদের প্রিয় হওয়াটা জরুরি। আপনার চারপাশে যখন শুভাকাঙ্ক্ষীরা বিচরণ করবেন তখন জীবন আরও সহজ হয়ে যাবে। যেহেতু দিনের মধ্যে অনেকটা সময় অফিসে কাটাতে হয়, তাই সেখানকার পরিবেশ ইতিবাচক হওয়াটাও জরুরি। জেনে নিন সহকর্মীদের প্রিয় হওয়ার সহজ ৬টি উপায়
মনখোলা শুভেচ্ছা
এটি হালকাভাবে নেওয়ার মতো কিছু নয়। কারণ যখন কারও সঙ্গে আমরা দেখা করি বা কথা বলি তখন আমাদের সত্যিকারের হাসি অপরজনকেও প্রভাবিত করে। সকালে অফিসে ঢুকে এবং ছুটির পর অফিস থেকে বের হওয়ার সময় অবশ্যই সহকর্মীদের শুভেচ্ছা জানান। আপনি যখন এটি করবেন তখন অন্যরাও এমনটা শিখবেন এবং আপনাকে প্রিয় মানুষের তালিকায় জায়গা দেবেন।
মিল খুঁজুন
সহকর্মীর সঙ্গে গল্প কিংবা আড্ডা দেওয়ার জন্য নিজেদের ভেতরে কমন ইন্টারেস্টের জায়গা খুঁজে বের করুন। অফিসে কাজের ফাঁকে, ক্যান্টিনে হালকা নাস্তা করার সময় বা মিটিং এর বিরতিতে কথা বলার জন্য সহকর্মীদের সঙ্গে কমন ইন্টারেস্টের জায়গাগুলো খুঁজে বের করতে হবে। শুরুটা নাহয় আপনিই করলেন। মানুষ যখন অন্যের সঙ্গে নিজের মিল খুঁজে পায়, তখন সহজে তাকে আপন করে নিতে পারে।
বিতর্কিত বিষয়ে আলোচনা এড়িয়ে চলুন
আপনি যদি রাজনৈতিক আলোচনা বা বিতর্কিত কোনো আলোচনায় জড়িয়ে পড়েন তবে তা উত্তপ্ত তর্ক-বিতর্কে পরিণত হতে পারে। তাই অফিসে এ ধরনের আলাপ-আলোচনা থেকে বিরত থাকাই ভালো। সহকর্মীদের সঙ্গে কথা বলুন মন খুলে। তবে যেসব বিষয় বিতর্কিত বা পরিবেশ উত্তপ্ত করতে পারে, সেগুলো এড়িয়ে চলুন।
রাগ নিয়ন্ত্রণ করুন
সহকর্মীদের সঙ্গে রাগ-অভিমানের সম্পর্ক গড়তে যাবেন না। হয়তো কখনো কখনো কারও ওপর আপনি ভীষণ রেগে যেতে পারেন। তবে তা চেপে রাখুন। কারণ আপনি যখন কারও ওপর রাগ দেখাবেন, সেটি অন্য সহকর্মীদের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। আপনি একজন বদরাগী মানুষ হিসেবে তাদের কাছে পরিচিত হবেন। কোনো বিষয় নিয়ে রাগন্বিত হলে নিজেকে কিছুটা বিশ্রাম দিন। তবে কোনো সহকর্মীর সঙ্গে উত্তপ্ত ব্যবহার করবেন না।
চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বলুন
কোনো বিষয়ে সহকর্মীর সঙ্গে কথা বলার সময় তার চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বলুন। কারণ কথা বলার সময় আই কন্ট্যাক্ট একটি বড় বিষয়। এর মাধ্যমে তিনি বুঝতে পারবেন যে আপনি তার সঙ্গে কথা বলতে আগ্রহী। অনেকে স্বাভাবিকভাবেই আই কন্ট্যাক্ট করে কথা বলেন। তবে যারা একটু অন্তর্মুখী ধরনের, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তাদেরই সমস্যা হতে পারে। এই অভ্যাস মেনে চলা গুরুত্বপূর্ণ।
বেশি বেশি হাসুন
মুখ গোমড়া করে রাখবেন না। একজন হাসিখুশি মানুষের জন্য সবার প্রিয় হয়ে ওঠা সহজ হয়। তাই মুখটা গম্ভীর না করে এক টুকরা হাসি ধরে রাখুন। আপনার মুখের হাসি শুধু আপনার জন্য নয়, আপনার আশেপাশে থাকা সহকর্মীর জন্যও বিস্ময়করভাবে কাজ করবে। কারণ হাসি হলো এক ধরনের বিনামূল্যে পাওয়া থেরাপি।