মাইগ্রেন যেসব কারণে বাড়তে পারে
মাইগ্রেন একবার শুরু হলে এই ব্যথা নিয়ন্ত্রণে আনা মুশকিল। অন্তত ২৪ ঘণ্টা আপনাকে ভুগিয়ে তবেই বিদায় নেবে। এই বিদায় কিন্তু দীর্ঘস্থায়ী নয়, যেকোনো সময় আবার ব্যথা ফিরে আসতে পারে। মাইগ্রেন শুরু হলে আলো, শব্দ সবকিছুই বিরক্তিকর মনে হতে পারে। এই ব্যথা বাড়ানোর ক্ষেত্রে কিছু কারণ দায়ী হতে পারে। সেই কারণগুলো জানা থাকলে মাইগ্রেন থেকে দূরে থাকা সহজ হয়। চলুন জেনে নেওয়া যাক, সেই কারণগুলো সম্পর্কে-
মানসিক চাপ
বর্তমানে শারীরিক অনেক অসুস্থতার কারণ হলো এই মানসিক চাপ। এটি মাইগ্রেনকেও বাড়িয়ে তুলতে কাজ করে। আপনি যদি স্ট্রেস বা মানসিক চাপের মধ্যে থাকেন তবে মাইগ্রেন বাড়তে পারে। তাই যতটা সম্ভব দুশ্চিন্তামুক্ত ও হাসিখুশি থাকুন। এতে মাইগ্রেনসহ অনেক অসুখ থেকেই দূরে থাকতে পারবেন।
অনিদ্রা
অনিদ্রা বা ঘুমের অভাবে হতে পারে অনেক কঠিন অসুখ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মাইগ্রেনের নেপথ্য কারণ হিসেবে অনিদ্রাও দায়ী হতে পারে। ঘুম ঠিকভাবে না হলে শরীরের স্বাভাবিক ছন্দ বিঘ্নিত হয়। ঘুম ভালোভাবে না হলে চিনচিনে মাথা ব্যথা থেকে যায়। সেখান থেকে বাড়ে মাইগ্রেন। তাই প্রতিদিন অন্তত সাত-আট ঘণ্টা ঘুম নিশ্চিত করুন।
খাবারে অনিয়ম
মাইগ্রেনের সমস্যা যাদের, খাবার খাওয়ার ক্ষেত্রে তাদের বেশি সচেতন হতে হবে। নিয়ম মেনে খাবার খেতে হবে। সঠিক সময়ে খাবার না খেলেও বাড়তে পারে এই ব্যথা। তাই কোনোভাবেই খাবারের ক্ষেত্রে অনিয়ম করা যাবে না।
ডিহাইড্রেশন
পর্যাপ্ত পানি পান না করার কারণে অনেকের শরীরে পানির অভাব বা ডিহাইড্রেশন দেখা দেয়। ডিহাইড্রেশন হলে দেখা দেয় মিনারেলসের অভাব। এই মিনারেলসের অভাবে বাড়ে মাইগ্রেন। তাই প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে। দিনে অন্তত দুই লিটার পানি পান করুন। সেইসঙ্গে তরল খাবার ও তাজা ফলমূল খান।
উজ্জ্বল আলো
যাদের মাইগ্রেন রয়েছে, উজ্জ্বল আলো তাদের সমস্যা আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে। যদি হালকা ব্যথা অনুভব করতে শুরু করেন, তবে আলো থেকে সরে আসুন। ঘরের আলো বন্ধ করে শুয়ে থেকে বিশ্রাম নিন।
অতিরিক্ত ক্যাফেইন
ক্যাফেইন আমাদের মাথাব্যথা দূর করতে সাহায্য করে এটি সত্যি, তবে এর অতিরিক্ত গ্রহণে শুরু হতে পারে মাইগ্রেন। তাই প্রতিদিন কফি পানের পরিমাণ কমিয়ে আনুন। এছাড়া অ্যালকোহল সেবনের অভ্যাস থাকলে সেটিও বাদ দিন বা কমিয়ে আনুন। এতে মাইগ্রেন থেকে দূরে থাকা সহজ হবে।
উচ্চ শব্দ
মাইগ্রেনকে বাড়িয়ে তুলতে পারে উচ্চ শব্দ। তাই জোরে গান শোনা থেকে বা ভীষণ শব্দের ভেতরে যাওয়া থেকে বিরত থাকুন। কারণ অতিরিক্ত আওয়াজে এই ব্যথা বেড়ে যায়। এগুলো এড়িয়ে চলতে পারলেই মাইগ্রেন থেকে দূরে থাকা সম্ভব হবে।