কিডনি রোগে যেসব খাবার উপকারী
ডায়েবেটিস, রক্তচাপ, ঘন ঘন ইউরিন ইনফেকশন ও অস্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণের কারণে কিডনি রোগ হয়। কিডনি রোগের চিকিৎসার উপায় হলো সঠিক পথ্য নির্বাচন। অন্যান্য রোগের তুলনায় এই রোগে মেপে মেপে পথ্য নির্বাচন করতে হয়। রক্তে ক্রিয়েটেনিনের মাত্রা যাতে ধীর গতিতে বৃদ্ধি হয় সেজন্য পথ্য নির্বাচনে চিকিৎসকরা সতর্কতা অবলম্বন করেন। কিডনি রোগে আক্রান্ত হলে পরিমিত খাবার খাওয়া উচিত।
ডিমের সাদা অংশ
কিডনি রোগে আক্রান্ত হলে ডিমের সাদা অংশ খাওয়া বাঞ্ছনীয়। ডিমের সাদা অংশে সোডিয়াম, পটাসিয়াম, ফরফরাস থাকে। ডিমের সাদা অংশ খাওয়ার মাধ্যমে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। নিয়মিত ডিমের সাদা অংশ খাওয়ার মাধ্যমে শরীরে আমিষ প্রবেশ করে। এতে কিডনি রোগ দ্রুত নিরাময় করা যায়।
রসুন
রসুন খাওয়ার মাধ্যমে কিডনি রোগ সারিয়ে তোলা যায়। ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন সি ও ভিটামিন বি-৬-সমৃদ্ধ রসুনে কিডনি রোগের জন্য উপকারিতা রয়েছে। রসুনের মধ্যে ঔষধি গুণ রয়েছে। রসুন খেয়ে একজন কিডনি রোগী সহজেই কিডনি রোগ সারিয়ে তোলে। তরকারিতে রসুন ব্যবহার করে রোগ নিরাময় করা যায়।
বাঁধাকপি
ভিটামিন কে, ভিটামিন সি ও ভিটামিন বি-এর সব উপাদান রয়েছে বাঁধাকপিতে। বাঁধাকপি খাওয়ার মাধ্যমে কিডনি রোগ থেকে মুক্ত থাকা যায়। পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ বাঁধাকপি খাওয়ার মাধ্যমে কিডনির সমস্যা থেকে নিরাপদ থাকা সম্ভব। একজন কিডনি রোগী নিয়মিত বাঁধাকপি খেতে থাকলে তার কিডনি রোগ দ্রুত সেরে যায়।
পেঁয়াজ
পেঁয়াজে ভিটামিন সি, ম্যাগনেসিয়াম ও ভিটামিন বি-এর সব উপাদান রয়েছে। কিডনি রোগ নিরাময়ের জন্য পেঁয়াজ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি খাবার। কোনো কিডনি রোগী যদি নিয়মিত পেঁয়াজ খান, তাহলে দ্রুত তার কিডনি রোগ নিরাময় হয়ে যাবে।
আনারস
আনারসে রয়েছে ফাইবার, ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন সি। কিডনি রোগে আনারস অনেক উপকারী খাবার। আনারসের মাধ্যমে কিডনি রোগ সারিয়ে তোলা সহজ হয়। নিয়মিত আনারস খেলে কিডনির দুর্বলতাগুলো দূর হয়ে যাবে।
এইচএকে/এইচএন/এএ