সম্পর্ক সুন্দর রাখতে চাইলে যে ৪ কথা বলবেন না
একটি সম্পর্ক সুন্দর কিংবা অসুন্দর করার জন্য কিছু বাক্যই যথেষ্ট। কিছু কথায় যেমন আমরা খুশি হয়ে যাই, কিছু কথা আবার আমাদের হৃদয় ভেঙে চুরমার করার জন্য যথেষ্ট। প্রেম বা বিয়ের সম্পর্কে যারা জড়িয়ে আছেন, তাদের ক্ষেত্রে কথা বলার সময় থাকতে হবে আরও সতর্ক। এমন কোনো কথা বা বাক্য বলা যাবে না যা অপরজনের জন্য কষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
আপনার বলা একটি বাক্যই হয়তো সম্পর্ককে নিয়ে যেতে পারে ভাঙনের দ্বারপ্রান্তে। তাই ভাঙন ঠেকাতে চাইলে কথা বলার সময় হতে হবে আরও বেশি মনোযোগী। সম্পর্ক সুন্দর রাখার জন্য থাকতে হবে সব রকম প্রচেষ্টা। এটি দুজনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। আর সেই প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে কিছু কথা বলা থেকে বিরত থাকতে হবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক, কোন কথাগুলো কখনোই সঙ্গীকে বলা যাবে না-
তুমি খুব বোরিং
কেউ-ই তার নিজের সম্পর্কে নেতিবাচক মন্তব্য শুনতে চায় না। একজন মানুষ যতটা একঘেয়েই হোক না কেন, সে কখনো আপনার কাছ থেকে এই মন্তব্য পেতে চাইবে না যে সে খুব বোরিং। একথা তাকে বলার অর্থ হলো মানসিকভাবে তাকে আঘাতগ্রস্ত করা। তাই এ ধরনের নেতিবাচক মন্তব্য থেকে বিরত থাকুন। বরং কেন সে চুপচাপ থাকছে বা প্রাণ খুলে কথা বলতে পারছে না সে বিষয়ে খোলাখুলি কথা বলুন। সহজ সমাধানের জন্য এর বিকল্প নেই।
তুমি আমার কথা শোনো না কেন?
এ ধরনের কথা এক-আধবার সঙ্গীকে বলাই যায়, তবে তাও বলবেন অনেকটা অনুযোগের সুরে। কিন্তু আপনি যদি সব সময়ই চান যে সে আপনার সব কথা শুনে চলুক তবে সেটি ভুল। এমনটা বললে তা হবে আপনার সংকীর্ণ ও অত্যাচারী স্বভাবের প্রমাণ। সে আপনার সব কথা শুনতে বাধ্য নয়। একজন স্বাধীন মানুষ হিসেবে তার মতামত ও দৃষ্টিভঙ্গীকেও গ্রহণ করতে শিখুন। এতে সম্পর্ক সুন্দর থাকবে।
তুমি খুব স্বার্থপর
প্রত্যেকেই নিজের স্বার্থ আগে দেখবে এটাই স্বাভাবিক। তাই কথায় কথাই সঙ্গীকে স্বার্থপর বলা বন্ধ করুন। এ ধরনের কথা যদি তাকে ঝগড়ার মধ্যেও বলে ফেলেন, তবু সেটি এক ধরনের ক্ষত সৃষ্টি করে দিয়ে যাবে। যদি সে স্বার্থপর স্বভাবের হয়েই থাকে, তবে তার স্বার্থে আপনি যেসব ছাড় দিতেন, সেগুলো দেওয়া বন্ধ করে দিন। তবে তাকে স্বার্থপর বলে আখ্যায়িত করে অযথা সম্পর্ক তিক্ত করতে যাবেন না।
তুমি অনেক বদলে গেছো
পৃথিবীর সবকিছুই পরিবর্তন ছিল। কোনোকিছুই চিরকাল একইভাবে বয়ে চলে না। নিজের দিকেই খেয়াল করুন, আপনি কি সব সময়েই একই রকম থাকছেন? তাই একটু একটু করে বদলে যাওয়াকে অস্বাভাবিক ধরে নেবেন না। ভালোবাসা পরিমাপের কোনো যন্ত্র নেই, এটি বেশি-কম হতেই পারে। তার বদলে যাওয়া যদি আপনাকে ক্ষতিগ্রস্ত না করে, তবে সেই বদলে যাওয়াকে মেনে নিন।