গাঁটের ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে যা করবেন
বয়সের কারণে যেসব শারীরিক সমস্যা বাড়তে থাকে তার মধ্যে অন্যতম হলো গাঁটের ব্যথা বা আর্থ্রাইটিস। ব্যায়াম ও অয়েনমেন্টে গাঁটের ব্যথা নিয়ন্ত্রণ করা যায় কিন্তু সেই উপশম দীর্ঘস্থায়ী নয়, সাময়িক। অসহ্য এই যন্ত্রণা থেকে দীর্ঘস্থায়ীভাবে মুক্তি পেতে চাইলে প্রাকৃতিক কিছু উপায় মেনে চলতে হবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক সেগুলো কী-
ওজন নিয়ন্ত্রণ করুন
অতিরিক্ত ওজন মানেই গাঁটের ব্যথার ঝুঁকি। বাড়তি ওজনের কারণে হাঁটু, পশ্চাদ্দেশ ও পায়ে ব্যথা বেশি হতে পারে। তাই ওজন নিয়ন্ত্রণ করে স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখা জরুরি। সেজন্য খেতে হবে প্রয়োজনীয় ও পরিমিত খাবার। বাড়াতে হবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। স্বাস্থ্যকর ওজন পেতে হলে সুস্থ থাকাটা জরুরি।
হালকা গরম পানিতে গোসল
শীতের দিনে অনেকেরই অভ্যাস থাকে হালকা গরম পানিতে গোসল করার। আপনার যদি গাঁটের ব্যথা থাকে তবে এই অভ্যাস শুধু শীতের দিনেই নয়, ধরে রাখতে হবে সারা বছর। হালকা গরম পানিতে গোসল করলে তা পেশী নমনীয় করে, নিয়ন্ত্রণে রাখে গাঁটের ব্যথাও।
হলুদের ব্যবহার
শরীরের অন্য সব ব্যথার মতো গাঁটের ব্যথা কমাতেও দারুণ কাগাঁটের ব্যথা কার্যকরী হলো হলুদ। পরিচিত এই ভেষজে থাকে কারকিউমিন। এর অ্যান্টি ইনফ্লেম্যাটরি সব ধরনের ব্যথা সারাতে কাজ করে। প্রতি রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে এক গ্লাস গরম দুধে এক চিমটি হলুদ মিশিয়ে পান করে নিন। এতে দ্রুতই উপশম মিলবে।
আইসপ্যাকের ব্যবহার
আমাদের নানা ধরনের ব্যথা থেকে মুক্তি দিতে কাজ করে আইসপ্যাক। যেখানে গাঁটের ব্যথা হচ্ছে, সেখানে আইসপ্যাক ব্যবহার করুন। প্রথম দিকে অস্বস্তি বোধ হতে পারে। তবে দীর্ঘদিন এভাবে আইস থেরাপি চালিয়ে গেলে একটা সময় যন্ত্রণা কমে আসবে।
ম্যাসাজ করুন
ম্যাসাজের রয়েছে অসংখ্য উপকারিতা। সমস্ত শরীরে ভালোভাবে ম্যাসাজ করলে এক ধরনের ঝরঝরে অনুভূতি হবে। পেশাদার কারও মাধ্যমে ম্যাসাজ করালে কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয় না। সরিষার তেল, নারিকেল তেল বা যেকোনো তেল হালকা গরম করে শরীরে মালিশ করুন। এতে যন্ত্রণা পুরোপুরি নির্মূল না হলেও কিছুটা আরাম পাওয়া যাবে।