এই সময়ে অ্যালার্জি? যে ৩ খাবারে আরাম পাবেন
শীত শেষ হলেও বাতাসে ধুলোবালির উপস্থিতি কমেনি। গরম বাড়ছে একটু করে, এদিকে ধুলোবালির জন্য অ্যালার্জির প্রকোপও বাড়ছে। আবহাওয়া পরিবর্তনের এই সময়ে ঠান্ডা-গরমের কারণে শরীরে কিছু সমস্যা দেখা দিতে পারে। ডিহাইড্রেশন তার মধ্যে অন্যতম। এসময় সঠিকভাবে খেয়াল না রাখলে কমতে থাকবে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। এমন অবস্থায় আপনি কী করবেন?
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সময়ে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় অ্যালার্জির সঙ্গে সঙ্গে সিজনাল ফ্লু সমস্যা হিসেবে দেখা দিতে পারে। এক্ষেত্রে অনেকে ওষুধ খেয়ে মুক্তি পেতে চান কিন্তু খাবারের পরিবর্তন এনেও এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। কয়েকটি খাবার রয়েছে যেগুলো অ্যালার্জির সমস্যায় কার্যকরী। প্রতিদিনের খাবারে কিছু পরিবর্তন আনলে এই সমস্যার সমাধান পাওয়া যায় অনেকটাই।
শুধু যে শীতেই নাক দিয়ে পানি পড়ে কিংবা হাঁচি হতে পারে এমনটা কিন্তু নয়। বসন্তকালে বাতাসে এত বেশি ধুলোবালি থাকে যে সেখান থেকেও শরীরের ক্ষতি হতে পারে মারাত্মক ভাবে। হতে পারে জ্বর, বমি এবং পেট খারাপও। দেখা দিতে পারে চোখ দিয়ে পানি পড়াসহ অন্যান্য সমস্যা। এসব সমস্যা থেকে কোন খাবারগুলো আপনাকে স্বস্তি দিতে পারে? শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী থাকলে তা আপনাকে অ্যালার্জির বিরুদ্ধে লড়াই করার শক্তি দিতে পারে। জেনে নিন কোন ৩ খাবার আপনাকে অ্যালার্জির যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দেবে-
আদা
আদাকে বলা হয় বিশ্ব ভেষজ। এর ভেষজের ফেনোলিক কম্পাউন্ড এবং জিনজারোলস, শোগাওলস ইত্যাদি শ্বাসযন্ত্রের সুরক্ষায় কাজ করে থাকে। সেইসঙ্গে শরীরের অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি এবং অক্সিডেন্ট বজায় রাখতেও কাজ করে আদা। এটি আপনি নানাভাবে খেতে পারেন। রান্নায় তো ব্যবহার করবেনই, আদার রস করে মধুর সঙ্গে কিংবা আদা থেতো করে চায়ের সঙ্গে মিশিয়ে খেলেও উপকার পাবেন।
স্পিরুলিনা
যাদের অ্যালার্জির সমস্যা অনেক বেশি তাদের সুস্থতা দিতে বেশ ভালো কাজ করে স্পিরুলিনা। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, স্পিরুলিনা সাইটোকাইন এবং ইন্টারফার্নস এর মাত্রা বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। এগুলো রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে সুরক্ষিত রাখে,
সেইসঙ্গে অ্যালার্জির সঙ্গে লড়াই করে।
নারিকেল তেল
সিজনাল অ্যালার্জির ক্ষেত্রে বেশি কার্যকরী হলো নারিকেল তেল । এর lauric acid -অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল এবং ফাঙ্গাসকে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর মাধ্যমে কমিয়ে দেয়। এ ধরনের খাবার খেলে শরীরের প্রদাহ, শরীরে গরম ভাব এবং অ্যালার্জির ধাত কমে যায়।