Hair Fall: এই সময়ে অতিরিক্ত চুল পড়লে কী করবেন?
শীত বিদায় নিয়েছে, গরম পড়তে শুরু করেছে। গরমে মাথা ঘেমে যাওয়া খুব সাধারণ ঘটনা। এই সময়ে মাথার ত্বক ও চুলের যত্ন নেওয়া জরুরি হয়ে ওঠে। গরম ছাড়াও দূষণের প্রভাব তো রয়েছেই। প্রতিদিনের দূষণ, ধুলোবালি, রোদ ইত্যাদির কারণেও মাথার ত্বক ও চুলের ক্ষতি হয়। সেইসঙ্গে ত্বকের ভেতরে টক্সিক উপাদানের মাত্রা বেড়ে যায়। এর ফলে বাড়ে প্রদাহের মাত্রাও।
নিয়মিত শ্যাম্পু ব্যবহার করুন
চুল ভালো রাখার মূল উপায় হলো মাথার ত্বক ও চুলের গোড়া পরিষ্কার রাখা। সেজন্য নিয়মিত শ্যাম্পু করতে হবে। মাসে একবার করবেন ডিপ ক্লিনজিং। প্রতিদিন বাইরে বের হলে নিয়মিত চুলের গোড়া পরিষ্কার করা জরুরি। তবে প্রতিদিন শ্যাম্পু করলে চুল তার স্বাভাবিক আর্দ্রতা হারিয়ে ফেলে, যে কারণে চুল রুক্ষ হয়ে যায়।সেজন্য শ্যাম্পু হতে হবে কোমল। চুলের ধরন বুঝে শ্যাম্পু ব্যবহার করবেন।
চুল ঢেকে রাখুন
সম্ভব হলে বাইরে বের হওয়ার সময় চুল ঢেকে রাখুন। সূর্যের অতি বেগুনি রশ্মির প্রভাবে চুলের ক্ষতি হয়। চুল ঢেকে রাখলে সেই ক্ষতি থেকে বাঁচতে পারবেন। এক্ষেত্রে ওড়না, স্কার্ফ, টুপি ইত্যাদি ব্যবহার করতে পারেন। চুল ঢেকে রাখলে স্ক্যাল্পও ক্ষতির হাত থেকে মুক্ত থাকবে। আপনি চাইলে এসপিএফ যুক্ত হেয়ার লোশনও ব্যবহার করতে পারেন। এতেও চুল সুস্থ ও সুন্দর থাকবে।
হেয়ার মাস্ক ব্যবহার
শহরের বাতাস গ্রামের বাতাসের মতো নির্মল নয়। এখানে দিনে দিনে বাতাসে বাড়ছে ধূলিকণা, কার্বন মনোক্সাইড, সালফার ডাই অক্সাইড এবং নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ। যে কারণে চুল সহজেই হচ্ছে ক্ষতিগ্রস্ত। এমন অবস্থায় চুল সুন্দর রাখতে চাইলে ব্যবহার করতে হবে হেয়ার মাস্ক। আপনার চুলের উপযোগী হেয়ার মাস্ক কিনে ব্যবহার করতে পারেন অথবা ঘরে তৈরি করেও ব্যবহার করতে পারেন।
অতিরিক্ত প্রসাধনী ব্যবহার নয়
চুলের যত্নে যা কিছু সামনে পান, তাই ব্যবহার করবেন না। অনেকে বিভিন্ন ধরনের হেয়ার কালার, হেয়ার জেল ব্যবহার করে থাকেন। এতে চুল নষ্ট হয়ে যায় দ্রুতই। কারণ এসব প্রসাধনীতে থাকতে পারে ক্ষতিকর রাসায়নিক। তাই চুলের যত্নে আরও বেশি সতর্ক হোন।