কফি খেলে কি ব্রণ হয়?
কফি খেতে খুব পছন্দ করেন এদিকে দিনে দিনে আপনার মুখে ব্রণের সমস্যা বেড়ে চলেছে? তাহলে বিশ্বাস করুন বা না করুন কফির প্রতি আপনার ভালোবাসাই হতে পারে আপনার মুখে হঠাৎ ব্রণের কারণ। কফি পান করলে আপনার ব্রণের সমস্যা আরও বাড়তে পারে। কীভাবে এটি ঠিক করা যায় তা জানা জরুরি। চলুন জেনে নেওয়া যাক-
ব্রণ কী? এটা কি শুধুমাত্র খাবার এবং পানীয়ের কারণে সৃষ্টি হয়?
সুস্থ ও মসৃণ ত্বক কে না চায়। কিন্তু ক্রমবর্ধমান দূষণ, ধুলোবালি, রাসায়নিক ভিত্তিক প্রসাধনীর অত্যধিক ব্যবহার এবং অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসের কারণে ত্বকে ব্রণ হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বিশ্বাস করেন যে, নির্দিষ্ট কিছু খাবারও ফুসকুড়ি এবং ব্রণের মতো হঠাৎ ত্বকের সমস্যাগুলোর গোপন কারণ হতে পারে। কফি, দুধ এবং দুগ্ধজাত খাবার, মশলাদার খাবার, পাউরুটি এবং জাঙ্ক ফুডের মতো খাবারের কারণেও ব্রণ হতে পারে।
কফি কীভাবে ব্রণের সমস্যা বাড়ায়?
বিশেষজ্ঞদের মতে, অতিরিক্ত কফি খেলে তা ব্রণের সমস্যা বাড়াতে পারে। ব্রণ প্রধানত হরমোনের ভারসাম্যহীনতার কারণে হয়, যা অস্বাস্থ্যকর জীবনধারা এবং অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসের কারণে হয়। এই কারণেই চিকিত্সক এবং বিশেষজ্ঞরা তৈলাক্ত, চিনিযুক্ত, মশলাদার এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেন যা শরীরে তাপ বাড়িয়ে ব্রণ সৃষ্টি করে। কফিতে থাকে দুধ, ক্যাফেইন সমৃদ্ধ কফি, চিনি এবং মাখনের মিশ্রণ, যা শরীরে তাপ তৈরি করে। এর ফলে ব্রণ হতে পারে।
খাবার কি ব্রণ নিরাময় করতে পারে?
কফি একটি প্রাকৃতিক মূত্রবর্ধক। তৈলাক্ত এবং জাঙ্ক ফুডের সঙ্গে কফি খেলে তা ডিহাইড্রেশনের কারণ হতে পারে। এর ফলে হতে পারে ব্রণ। এছাড়াও অত্যধিক কফি খাওয়ার ফলে প্রয়োজনীয় ভিটামিন এবং পানিতে দ্রবণীয় খনিজ পদার্থ বের হয়ে যেতে পারে যা ডিহাইড্রেশন সৃষ্টি করে। এই অবস্থার প্রতিকার করার একমাত্র উপায় হলো শরীরকে হাইড্রেট করা এবং খাবারে পরিবর্তন আনা। গ্রিন টি, ঘরে তৈরি স্মুদি এবং শেক, ক্যামোমাইল চা, পুদিনা চা এবং মৌরি চা-এর মতো ক্যাফেইনমুক্ত পানীয় পান করতে পারেন। বেরি জাতীয় ফলসহ নানা ধরনের ফল ত্বকের স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে সাহায্য করে। এছাড়াও পর্যাপ্ত পানি পানের মাধ্যমে ব্রণ থেকে দূরে থাকা সম্ভব হতে পারে।