মৎস্যবিজ্ঞানে স্নাতক ডিগ্রিধারীদের ৮ পদে চাকরির সুযোগ দিতে রুল
মৎস্য অধিদপ্তরে কর্মচারী নিয়োগ বিধিমালা-২০২০ প্রণয়ন কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
মৎস্যবিজ্ঞানে স্নাতক ডিগ্রিধারীদের তত্ত্বাবধায়ক পরিদর্শক, সহকারী হ্যাচারি কর্মকর্তা, সহকারী সম্প্রসারণ কর্মকর্তা, সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা ও মৎস্য জরিপ কর্মকর্তাসহ ৮টি পদে আবেদনের সুযোগ দিতে কেন নির্দেশনা দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।
আজ (মঙ্গলবার) বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
চার সপ্তাহের মধ্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ও মৎস্য অধিদফতরের মহাপরিচালকসহ (ডিজি) সংশ্লিষ্ট ৫ জনকে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া। তাকে সহযোগিতা করেন মো. মনিরুল ইসলাম রাহুল ও মো. সোহরাওয়ার্দী সাদ্দাম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী।
এর আগে মৎস্য অধিদপ্তরে কর্মচারী নিয়োগ বিধিমালা, ২০২০ এর তফসিল-১ এর ক্রমিক নং ৭৪, ৭৫, ৭৬, ৭৭, ৭৮, ৭৯, ৮০ ও ৮৫-এ সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে মৎস্যবিজ্ঞানে স্নাতক ডিগ্রিধারীদের তত্ত্বাবধায়ক পরিদর্শক, সহকারি হ্যাচারি কর্মকর্তা, সহকারি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা, সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা ও মৎস্য জরিপ কর্মকর্তাসহ ৮টি পদে চাকরির আবেদনের সুযোগ না রাখায় বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মৎস্যবিজ্ঞানে স্নাতক ডিগ্রিধারী ২১ জন চাকরি প্রার্থী হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন।
অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া বলেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ২০২০ সালের ২৪ মার্চ মৎস্য অধিদপ্তরে কর্মচারী নিয়োগ বিধিমালা, ২০২০ প্রণয়ন করেন কিন্তু আইনের তফসিল-১ এর ক্রমিক নং ৭৪, ৭৫, ৭৬, ৭৭, ৭৮, ৭৯, ৮০ ও ৮৫-এ সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রাণিবিদ্যা ও মৎস্য ডিপ্লোমাধারীদের আবেদনের সুযোগ দেওয়া হলেও মৎস্যবিজ্ঞানে স্নাতক ডিগ্রিধারীদের আবেদনের কোনো সুযোগ রাখা হয়নি।
মৎস্য অধিদপ্তরে কর্মচারী নিয়োগ বিধিমালা, ২০২০ অনুযায়ী বাংলাদেশ কর্ম কমিশন গত বছরের ২৩ ডিসেম্বর দশম গ্রেডে মৎস্যবিজ্ঞান সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পদের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। সেখানে প্রাণিবিদ্যা ও মৎস্য ডিপ্লোমাধারীদের আবেদনের সুযোগ দেওয়া হলেও মৎস্যবিজ্ঞানে স্নাতক ডিগ্রিধারীদের আবেদনের সুযোগ রাখা হয়নি। এ কারণে মো. হাসান মাহমুদ নূর, তাসলিমা আক্তার, সজীব সাহা, মো. আব্দুল কাদের, জিহাদ হোসেন, মো. রোহান ইসলাম, চয়ন বিশ্বাস, মো. জাহিদ হোসেন, সামিহা হায়দার রোজা এবং আতিক-উজ-জামানসহ ২১ জন চাকরিপ্রার্থী হাইকোর্টে রিট করেন।
এমএইচডি/এনএফ