বিচার বিভাগীয় তদন্তের আদেশ স্থগিত, রিট নিষ্পত্তির নির্দেশ
দেশের ছয় জেলায় হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ, বাসস্থান ও উপাসনালয়ে হামলার ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্তের আদেশ স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে এ বিষয়ে জারি করা রুল স্বল্প সময়ে নিষ্পত্তি করতে বিচারপতি জে বি এম হাসানের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
রোববার প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে ছয় বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালত বলেছেন, হাইকোর্টে রিট নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত স্থগিতাদেশ বহাল থাকবে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সুব্রত চৌধুরী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।
এর আগে, গত ২৮ অক্টোবর ছয় জেলায় হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ, বাসস্থান ও উপাসনালয়ে হামলার ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। রংপুর, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, ফেনী, চাঁদপুর ও নোয়াখালীর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে আগামী দুই মাসের মধ্যে তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়। একইসঙ্গে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ, তাদের বাসস্থান ও উপাসনালয়ের নিরাপত্তা বিধানে স্থানীয় প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত।
বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। পরে এই আদেশ স্থগিত চেয়ে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।
গত বছরের ২১ অক্টোবর সারা দেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ, বাসস্থান ও উপাসনালয়ে হামলার ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে। রিটে হিন্দু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন ও ক্ষতিপূরণ প্রদান এবং হিন্দু সম্প্রদায়কে নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ দোষী সরকারি কর্মকর্তাদের আদালতে হাজির করার নির্দেশনা চাওয়া হয়।
এছাড়া সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করে এমন সব ধরনের পোস্ট ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে অপসারণের নির্দেশনা চাওয়া হয়। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট অনুপ কুমার সাহা ও মিন্টু চন্দ্র দাস এ রিট দায়ের করেন।
রিটে স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন সচিব, তথ্য, যোগাযোগ ও প্রযুক্তি সচিব, সমাজ কল্যাণ সচিব, পুলিশের আইজি, বিটিআরসির চেয়ারম্যান, কুমিল্লা, চাঁদপুর, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম, রংপুর ও ফেনীর ডিসি-এসপিসহ ১৯ জনকে বিবাদী করা হয়েছে। আবেদনে সাম্প্রদায়িক হামলা সংক্রান্ত বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন সংযুক্ত করা হয়।
এমএইচডি/ওএফ