একটি মেধাবী প্রাণকে মেরে ফেলা হয়েছে : বিচারক
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ময়লাবাহী গাড়ির ধাক্কায় নটর ডেম কলেজের শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় গ্রেফতার গাড়িচালক রাসেল খানের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
রিমান্ড শুনানিতে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন বলেন, একটি মেধাবী প্রাণকে মেরে ফেলা হয়েছে। এই ঘটনার সঙ্গে আর কে কে জড়িত? কার হুকুমে হয়েছে? কেন এমন ঘটনা হয়েছে? এসব কিছু জানতে ও মামলার সুষ্ঠু তদন্তের প্রয়োজনে আসামির রিমান্ড প্রয়োজন।
আজ (২৫ নভেম্বর) পল্টন থানার মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক আনিছুর রহমান সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করে মামলার আসামি রাসেলকে আদালতে হাজির করেন।
এ সময় আসামিপক্ষের আইনজীবীর রিমান্ড বাতিল শেষে জামিন আবেদন করেন। এতে রাষ্ট্রপক্ষ বিরোধিতা করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত রাসেলের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুরে ডিএমপির পল্টন মডেল থানার সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মতিঝিল বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) আ. আহাদ বলেন, ঘাতক গাড়িটি চালাচ্ছিলেন রাসেল খান। কিন্তু তিনি প্রকৃতপক্ষে ওই গাড়ির চালক নন। আমরা গাড়ির কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করেছি। গ্রেফতার রাসেল জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, গাড়িটির মূল চালক হারুন।
তিনি বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি বিষয় লক্ষ্য করা গেছে। তা হলো কেউ কেউ লিখছেন- ঘটনার সময় প্রকৃত চালক গাড়ির ভেতরেই ছিলেন এবং তিনি পালিয়ে যান। তবে বিষয়টি সত্য নয়। ওই সময় গাড়িতে প্রকৃত চালক ছিলেন না।
রাজধানীর গুলিস্তান গোলচত্বরে হল মার্কেটের সামনে বুধবার (২৪ নভেম্বর) বেলা ১১টায় ডিএসসিসি ময়লার গাড়ির ধাক্কায় নাঈম হাসান (১৭) নামে নটরডেম কলেজের এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। তিনি কলেজের মানবিক শাখার ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী। ওই ঘটনার পর থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ করে দুর্ঘটনায় জড়িত প্রকৃত আসামির বিচারের দাবি জানিয়ে আসছেন শিক্ষার্থীরা।
টিএইচ/এমএইচএস