‘ভুল আসামি’ নরসিংদীর সিদ্দিকুরের সাজা পরোয়ানা স্থগিত
‘ভুল আসামি’ নরসিংদীর সিদ্দিকুরের বিরুদ্ধে সাজামূলের গ্রেফতারি পরোয়ানা দুই মাসের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। রোববার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
সাজামূলের পরোয়ানা নিয়ে সিদ্দিকুর রহমানকে গ্রেফতারের কার্যক্রম কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং তাকে হয়রানি বা গ্রেফতার না করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।
আদালত মূল অভিযুক্তকে শনাক্তে এবং ঘটনা তদন্ত করে ৪৫ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে সিআইডিকে নির্দেশও দিয়েছেন। আদালতে সিদ্দিকুরের পক্ষে শুনানি করেন এস এস আরেফিন জুন্নুন।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, ২০০৫ সালের ২ নভেম্বর ধানমন্ডির রুপসা কমিউনিটি সেন্টারের পাশে ফুটপাতে চারজনকে ৩০০ গ্রামের গাঁজার পুরিয়াসহ আটক করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। পরে মামলা দিয়ে তাদের থানায় হস্তান্তর করা হয়।
ওই চারজনের মধ্যে একজন নিজেকে পরিচয় দেন নরসিংদীর কালিকাপুরের মো. নুরু মিয়ার ছেলে মো. সিদ্দিক (৩৩) হিসেবে। এ মামলার তদন্ত করেন ধানমন্ডি থানার তৎকালীন এসআই (উপ-পরিদর্শক) ফরিদা ইয়াসমিন। আসামিরা জামিনে বের হয়ে বর্তমানে পলাতক রয়েছেন।
বিচার শেষে এ মামলায় ২০১৫ সালের ৬ জানুয়ারি ঢাকা মহানগর হাকিম আদালত রায় দেন। রায়ে আসামিদের ছয় মাসের দণ্ড দেওয়া হয়। পরে ঠিকানা অনুযায়ী সাজা পরোয়ানা জারি করা হয়।
আইনজীবী এস এস আরেফিন জুন্নুন জানান, ঠিকানা অনুযায়ী নরসিংদীতে পরোয়ানা যায়। এ ঘটনায় কেউ রিট আবেদনকারী সিদ্দিকুরের নাম-ঠিকানা ব্যবহার করেছেন। সিদ্দিকুর বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে চিফ রিটাচার পদে চাকরি করতেন। তিনি ২০০৭ সালের ১৬ মে অবসরেও যান।
তিনি জানান, ২০০৫ সালে যখন আসামিদের গ্রেফতার দেখানো হয়, তখন সিদ্দিকুর অফিস করছিলেন। তখন তার বয়স ছিল ৫০ এর বেশি। আর গ্রেফতার ব্যক্তির বয়স দেখানো হয়েছিল ৩৩ বছর। এ ঘটনার সঠিক তদন্ত করেননি তদন্ত কর্মকর্তা। হঠাৎ করে পরোয়ানা দেখে বিব্রত হয়ে মো. সিদ্দিকুর রহমান গত সপ্তাহে রিট করেন।
রিটে স্বরাষ্ট্র সচিব, আইজিপি, ঢাকা জেলা প্রশাসক, ডিআইজি প্রিজন, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই ফরিদা ইয়াসমিনসহ সংশ্লিষ্ট আটজনকে বিবাদী করা হয়েছে।
এমএইচডি/আরএইচ