স্ত্রীর মামলায় ট্রাফিক সার্জেন্টের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা
যৌতুকের দাবিতে নির্যাতনের অভিযোগে স্ত্রীর দায়ের করা মামলায় ট্রাফিক সার্জেন্ট ইকবাল হোসেনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। বুধবার (২৭ অক্টোবর) চট্টগ্রাম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক বেগম ফেরদৌস আরার আদালত এ আদেশ দেন ।
ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট খন্দকার আরিফুল আলম।
তিনি বলেন, বাদী ডা. সোনিয়া সামাদ নির্যাতনের অভিযোগে পুলিশের কাছে মামলা করতে গেলেও পুলিশ মামলা নেয়নি। এরপর তিনি চট্টগ্রাম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এ মামলাটি দায়ের করেছিলেন। ট্রাইব্যুনাল ঘটনাটি অনুসন্ধানের জন্য চট্টগ্রাম জেলার মিরসরাই উপজেলার মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তাকে আদেশ দেন। অনুসন্ধান করে মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মামলার বাদীর অভিযোগের সত্যতা পান। শ্বশুর বাড়ি থেকে গাড়ি নেওয়ার জন্য পুলিশ সার্জেন্ট ইকবাল তার স্ত্রীকে মারধর করেছেন বলে তদন্তে প্রমাণিত হয়।’
তিনি আরও বলেন, মিরসরাইয় উপজেলার মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা আজ (বুধবার) আদালতে প্রতিবেদন জমা দেন । ট্রাইব্যুনাল প্রতিবেদন আমলে নিয়ে ট্রাফিক সার্জেন্ট ইকবালের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। ট্রাফিক সার্জেন্ট ইকবাল হোসেন খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশে কর্মরত।
এর আগে গত ২৬ আগস্ট যৌতুকের জন্য নির্যাতনের অভিযোগে ট্রাফিক সার্জেন্ট ইকবাল হোসেনের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের আদালতে মামলা করেন তার স্ত্রী ডা. সোনিয়া সামাদ।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০২১ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি ইকবালের সঙ্গে বিয়ে হয় সোনিয়ার। বিয়ের পর থেকেই স্বামী ইকবাল যৌতুকের জন্য সোনিয়াকে নানাভাবে চাপ প্রয়োগ ও নির্যাতন করে আসছেন। নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে ৬ এপ্রিল যৌতুকের ১ লাখ টাকা অভিযুক্ত ইকবালকে বুঝিয়ে দেন সোনিয়া। পরে সোনিয়ার সাভারের পাঁচতলা বাড়ি এবং একটি প্রাইভেটকার লিখে দিতে চাপ দেন তার স্বামী। গত ২৫ জুলাই অভিযুক্ত ইকবাল হোসেন যৌতুকের জন্য স্ত্রী সোনিয়াকে মারধর করেন।
কেএম/এসকেডি