প্রাথমিক শিক্ষকদের বেতন বৈষম্য দূর করতে আবেদন নিষ্পত্তির নির্দেশ
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত ২০১০ এবং ২০১২ সালের সহকারী শিক্ষদের মধ্যে সৃষ্ট বেতন বৈষম্য দূর করা সংক্রান্ত আবেদন আগামী ৪৫ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
রোববার (২৪ অক্টোবর) সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২৫ জন সহকারী শিক্ষকের দায়ের করা রিটের শুনানি নিয়ে বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিবকে এ নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।
রিটে সচিব, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় ও অর্থ মন্ত্রণালয়, মহাপরিচালক, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরসহ ৫ জনকে বিবাদী করা হয়েছে।
আদালতে রিটকারীদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ্ মিয়া এবং রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
পরে আইনজীবী মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ্ মিয়া বলেন, ২০১০ সালে সরাসরি নিয়োপ্রাপ্ত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ও ২০১২ সালের ৩০ জুনের আগে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়োগপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষকদের অপেক্ষাকৃত কম বেতন নির্ধারণ করা হয়। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত ২০১০ এবং ২০১২ সালের সহকারী শিক্ষদের মধ্যে সৃষ্ট বেতন বৈষম্যে দূর করতে সচিব, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বিভিন্ন সময়ে যোগাযোগ করা হয়। কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
উল্লেখ্য যে, জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ অনুসারে ২০১০ সালে কর্মরত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেতন স্কেল হচ্ছে ১৩০৫০ টাকা ও ২০১২ সালের ৩০ জুনের আগে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়োগপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষকদের বেতন স্কেল ১৩৭১০ টাকা। যে কারণে প্রতিবছর বেতন নির্ধারণের সময় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সরাসরি নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকরা বৈষম্যর শিকার হন।
গত ২৫ মার্চ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত ২০১০ এবং ২০১২ সালের সহকারী শিক্ষদের মধ্যে সৃষ্ট বেতন বৈষম্য দূর করা সংক্রান্ত একটি আবেদন করার পরও সংশ্লিষ্টরা কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় হাইকোর্টে রিট করা হয়।
মো. সাজ্জাদুল হক বাবুল, মো. আব্দুস সালাম, মো. সাফায়েত, মো. মিজানুর রহমান, মীর মোশাররফ হোসেন, কামাল হোসেন, মো. কবির হোসেনসহ ২৫ জন সহকারী শিক্ষক এ রিট দায়ের করেন।
এমএইচডি/জেডএস