পাপুলের স্ত্রী-মেয়ের অর্থপাচার : বাংলাদেশ ব্যাংকের নথি তলব
লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলের স্ত্রী সংরক্ষিত আসনের নারী সংসদ সদস্য সেলিনা ইসলাম ও তার মেয়ে ওয়াফা ইসলামের অর্থপাচার বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের উপ-পরিচালক আরেফিন আহসান মিঞা স্বাক্ষরিত সমস্ত নথি তলব করেছেন হাইকোর্ট।
এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানি ও আদেশের জন্য আগামী ২৪ জানুয়ারি দিন নির্ধারণ করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারি) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি শাহেদ নুর উদ্দিনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন খুরশিদ আলম খান। অপরদিকে, রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন- ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।
এর আগে, কাজী শহিদ ইসলাম পাপুল ও তার স্ত্রী সংরক্ষিত নারী সদস্য সেলিনা ইসলামসহ চার জনের ৬১৭টি ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ এবং ৯২টি তফসিলভুক্ত স্থাবর সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দেন একই আদালত।
দুদকের মামলায় ৬১৭ ব্যাংক হিসাব ফ্রিজের মধ্যে, লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলের ১৪৮টি, স্ত্রী সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য সেলিনা ইসলামর ৩৪৫টি, মেয়ে ওয়াফা ইসলামের ৭৬টি ও শ্যালিকা জেসমিন প্রধানের ৪৮টি ব্যাংক হিসাব ফ্রিজের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
মানব ও অর্থপাচারের অভিযোগে পাপুল কুয়েতে গ্রেফতার হওয়ার পর গত ১১ নভেম্বর তার স্ত্রী এমপি সেলিনা, শ্যালিকা জেসমিন প্রধান এবং মেয়ে ওয়াফা ইসলামের বিরুদ্ধে একটি মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
গত বছরের ২৬ নভেম্বর অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচারের মামলায় কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম ও মেয়ে ওয়াফা ইসলাম হাইকোর্টে আগাম জামিন চেয়ে আবেদন করেন।
গত ২২ ডিসেম্বর বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ তাদের জামিন নামঞ্জুর করে ২৮ ডিসেম্বরের মধ্যে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন।
আদালতের এমন নির্দেশে তারা গত ২৭ ডিসেম্বর আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করলে তাদেরকে ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত জামিন দিয়েছেন আদালত।
এমএইচডি/এফআর