ডিআইজি প্রিজনস পার্থ গোপালের জামিনের মেয়াদ বাড়ল
দুর্নীতি ও মানি লন্ডারিং আইনে দায়ের করা মামলায় ডিআইজি প্রিজনস পার্থ গোপাল বণিকের জামিনের মেয়াদ আগামী ৮ আগস্ট পর্যন্ত বাড়িয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় পার্থ গোপাল আদালতে উপস্থিত হয়ে তার আইনজীবীর মাধ্যমে স্থায়ী জামিন চেয়ে আবেদন করেন।
অপরদিকে, দুদকের প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর জামিন বাতিলের আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫-এর বিচারক ইকবাল হোসেন এ আদেশ দেন।
এর আগে গত ১৭ জুন আদালত পার্থ গোপাল বণিককে ১৫ জুলাই পর্যন্ত জামিন দেন। ২৩ জুন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মোশারফ হোসেন কাজল তার বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা জারির আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত দুদকের আবেদন মঞ্জুর করে এসবি পুলিশকে নিষেধাজ্ঞা কার্যকরের নির্দেশ দেন।
গত বছরের ২৪ আগস্ট মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক মো. সালাহউদ্দিন ডিআইজি প্রিজনস পার্থের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
২০১৯ সালের ২৮ জুলাই কারাগারের অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে পার্থ গোপাল বণিককে জিজ্ঞাসাবাদ করার এক পর্যায়ে অভিযানে যায় দুদক। ওই দিন বিকেলে ধানমন্ডির ভূতের গলিতে পার্থ গোপালের ফ্ল্যাট থেকে ৮০ লাখ টাকা উদ্ধার করে দুদক। এরপরই তাকে আটক করা হয়। পরদিন ২৯ জুলাই তার বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ১৬১ ধারাসহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারা এবং মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২-এর ৪ (২) ধারায় দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ মামলা দায়ের করেন দুদকের সহকারী পরিচালক মো. সালাহউদ্দিন।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, ডিআইজি পার্থ গোপাল বণিক সরকারি চাকরিতে দায়িত্ব পালনের সময় ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি ও ঘুষের মাধ্যমে ৮০ লাখ টাকা অবৈধভাবে অর্জন করেন। এসব টাকা গোপন করে তার নামীয় কোনো ব্যাংক হিসাবে জমা না রেখে বিদেশে পাচারের উদ্দেশ্যে নিজ বাসস্থানে লুকিয়ে রেখে দণ্ডবিধির ১৬১ ধারা, দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭ (১) ধারা, দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫ (২) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪ (২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।
টিএইচ/আরএইচ