শর্ত লঙ্ঘন করে মিডওয়াইফ পদে নিয়োগের বিরুদ্ধে রুল
নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদফতরের অধীনে মিডওয়াইফ পদে শর্ত লঙ্ঘন করে নিয়োগপ্রাপ্তদের নিয়োগ কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে রিট আবেদনকারীদের শূন্যপদে কেন নিয়োগ দেওয়া হবে না, তাও রুলে জানতে চাওয়া হয়েছে।
৭৭ চাকরিপ্রার্থীর দায়ের করা রিট আবেদনের শুনানি শেষে মঙ্গলবার (১৫ জুন) বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। এছাড়া নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদফতরের মহাপরিচালকে এ সংক্রান্ত জবাব আদালতে দাখিল করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আদালতে রিটকারীদের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অরবিন্দু কুমার রায়।
রিটে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব, নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদফতরের মহাপরিচালক ও পিএসসির চেয়ারম্যান, এনটিআরসির চেয়ারম্যানসহ পাঁচ জনকে বিবাদী করা হয়।
পরে আইনজীবী মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া বলেন, ২০১৯ সালের ১২ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ কর্ম কমিশন (পিএসসি) স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীন স্বাস্থ্য ও সেবা বিভাগের নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদফতর ১৮৪৭ মিডওয়াইফ শূন্যপদে নিয়োগের জন্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। ওই মিডওয়াফ পদে আবেদনের ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা ছিল- কোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় হতে মিডওয়াইফারি বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি বা কোনো স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান হতে ডিপ্লোমা-ইন-মিডওয়াইফারি সার্টিফিকেট এবং বাংলাদেশ নার্সিং কাউন্সিল কর্তৃক নিবন্ধিত হতে হবে। কিন্তু অনেক চাকরি প্রার্থী ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতার শর্তাদি লঙ্ঘন করে মিডওয়াফ পদে আবেদন করে ও বিগত ২০ মে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় কর্তৃক মিওয়াফ পদে ১৪০১ জন মিডওয়াফ নিয়োগ প্রদান করা হয়। কিন্তু রিট আবেদন কারীদের সব যোগ্যতা এবং ৪৪৬টি পদ শূন্য থাকলেও তাদের নিয়োগের জন্য বিবেচনা করা হয়নি। তাই ৭৭ চাকরিপ্রার্থী সংক্ষুব্ধ হয়ে আদালতে এই রিট দাখিল করলে আদালত রুল জারি করেন।
ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া আরও বলেন, আদালত বিবাদীদের প্রতি চার সপ্তাহের রুল নিশি জারি করেছেন এবং নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদফতরের মহাপরিচালকে এ সংক্রান্ত জবাব দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।
এমএইচডি/এসএসএইচ