আশুলিয়ায় মরদেহ পোড়ানো : তিন পুলিশ কর্মকর্তা ট্রাইব্যুনালে

জুলাই-আগস্টে ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন সাভারের আশুলিয়ায় মরদেহ পোড়ানোর ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত তিন পুলিশ কর্মকর্তাকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) সকাল ১০টার দিকে ট্রাইব্যুনালে আনা তিন পুলিশ কর্মকর্তা হলেন, ঢাকা জেলার সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মো. আব্দুল্লাহিল কাফী, ঢাকা জেলা পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত সুপার (সাভার সার্কেল) মো. শাহিদুল ইসলাম ও সাবেক ডিবি পরিদর্শক মো. আরাফাত হোসেন।
আরও পড়ুন
প্রসিকিউশনের আবেদনে গত ৮ এপ্রিল আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে বিচারিক প্যানেল ১৫ এপ্রিল ট্রাইব্যুনালে হাজিরের নির্দেশ দেন। ট্রাইব্যুনালে ওইদিন শুনানি করেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম ও প্রসিকিউটর গাজী মোনাওয়ার হুসাইন। এই সময় প্রসিকিউট বিএম সুলতান মাহমুদসহ অন্যান্য প্রসিকিউটররা উপস্থিত ছিলেন।
মরদেহ পোড়ানোর নৃশংস ঘটনার বিষয়ে গত ২৬ ডিসেম্বর তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ৫ আগস্ট আশুলিয়ায় ছয় তরুণকে গুলি করে হত্যার পর পুলিশ ভ্যানে রেখে আগুন লাগিয়ে দেন পুলিশ সদস্যরা। যখন এসব মরদেহে আগুন দেওয়া হচ্ছিল, তখন একজন জীবিত ছিলেন। জীবিত থাকা অবস্থায় তার গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন দেওয়া হয়।
গত বছরের জুলাই-আগস্টে চলা ছাত্র আন্দোলনের সময় ৫ আগস্ট সাভারের আশুলিয়ায় এ বর্বর ঘটনা ঘটে। অভিযোগে বলা হয়, ওইদিন ছয় তরুণকে গুলি করে হত্যা করে পুলিশ, এরপর তাদের মরদেহ একটি পুলিশ ভ্যানে রেখে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। ভয়াবহ এ ঘটনার সময় একজন তরুণ তখনো জীবিত ছিলেন। তাকেও পেট্রোল ঢেলে জীবন্ত অবস্থায় পুড়িয়ে মারা হয়।
এ ঘটনাকে ‘মানবতাবিরোধী অপরাধ’ হিসেবে চিহ্নিত করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দাখিল করা হয়। চলতি বছরের ৮ এপ্রিল আদালত ওই তিন কর্মকর্তাকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করার নির্দেশ দেন। চিফ প্রসিকিউটর জানান, মামলার তদন্ত ইতোমধ্যে শেষ পর্যায়ে রয়েছে এবং প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে।
লাশ পোড়ানোর নৃশংস ঘটনার বিষয়ে গত ২৬ ডিসেম্বর তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ৫ আগস্ট আশুলিয়ায় ছয় তরুণকে গুলি করে হত্যার পর পুলিশ ভ্যানে রেখে আগুন লাগিয়ে দেন পুলিশ সদস্যরা। যখন এসব লাশ আগুন দেওয়া হচ্ছিল, তখন একজন জীবিত ছিলেন। জীবিত থাকা অবস্থায় তার গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন দেওয়া হয়।
এমএইচডি/এআইএস