সাংবাদিক মোজাক্কির হত্যা : দুই আসামিকে জামিন দেননি হাইকোর্ট
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চাপরাশিরহাট বাজারে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে স্থানীয় সাংবাদিক বোরহান উদ্দিন মুজাক্কির নিহত হওয়ার ঘটনায় করা মামলায় আসামি মো. ইকবাল বাহার ও সিরাজুল হক ওরফে আবুল হাশেমকে জামিন দেননি হাইকোর্ট।
সোমবার (৩১ মে) বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীমের হাইকোর্ট বেঞ্চ তাদের জামিনের আবেদন উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে দেন।
আদালতে আসামিদের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট শাহীনুর বেগম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. মো. বশির উল্লাহ। এর আগে গত ১৮ মে হাইকোর্টের আরেকটি বেঞ্চ ইকবাল বাহারের জামিন আবেদন কার্যতালিকা থেকে বাদ দেন।
গত ১৯ ফেব্রুয়ারি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই আবদুল কাদের মির্জা এবং তার বিরোধীপক্ষ কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল গ্রুপের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। সেখানে স্থানীয় সাংবাদিক বোরহান উদ্দিন মুজাক্কিরসহ বেশ কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হন। ওই ঘটনায় অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হন।
বোরহান উদ্দিন মুজাক্কিরসহ গুলিবিদ্ধ কয়েকজনকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২০ ফেব্রুয়ারি রাতে মারা যান বোরহান উদ্দিন মুজাক্কির। এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহতের বাবা মাওলানা নুরুল হুদা মো. নোয়াব আলী মাস্টার বাদী হয়ে ২৩ ফেব্রুয়ারি কোম্পানীগঞ্জ থানায় মামলা করেন। মামলায় সুনির্দিষ্টভাবে কারো নাম উল্লেখ না করে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করা হয়। মামলাটি এখন পিবিআই তদন্ত করছে।
এ মামলায় কাদের মির্জার অনুসারী মো. ইকবাল বাহার ও সিরাজুল হককে গত ২১ মার্চ গ্রেফতার দেখানো হয়। এর আগেই গত ১৩ মার্চ ইকবাল বাহার ও ১৬ মার্চ সিরাজুল হককে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ অবস্থায় ইকবাল বাহার ও সিরাজুল হককে ব্যবসায়ী দাবি করে হাইকোর্টে জামিন আবেদন করা হয়।
এমএইচডি/জেডএস