টেলিকমে শামীম ওসমান পরিবারের জালিয়াতি তদন্তে হাইকোর্টের নির্দেশ

নারায়ণগঞ্জের আওয়ামী লীগ নেতা শামীম ওসমানের পরিবারের টেলিকম ব্যবসায় জালিয়াতি, প্রতারণা ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ও বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) ৯০ দিনের মধ্যে এ বিষয়ে তদন্ত করতে বলা হয়েছে।
মঙ্গলবার সাখাওয়াত হোসেনের দায়ের করা রিটের শুনানি শেষে বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এই আদেশ দেন।
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব, বিটিআরসির চেয়ারম্যান, যৌথমূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের পরিদপ্তর (আরজেএসসি) নিবন্ধক, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান, পুলিশের মহাপরিদর্শকসহ (আইজিপি) ১১ জন বিবাদীকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। তার সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী সাদ্দাম হোসেন।
আইনজীবী শিশির মনির বলেন, ‘ওসমান পরিবারের টেলিকম ব্যবসার নামে জালিয়াতি, প্রতারণা নিয়ে গত ১৪ জানুয়ারি একটি জাতীয় দৈনিক প্রতিবেদন প্রকাশ করে। সে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শামীম ওসমানের পারিবারিক প্রতিষ্ঠান ‘কে টেলিকমিউনিকেশন লিমিটেড’ এর কাছে সরকারের পাওনা ১২৬ কোটি টাকা। এই বিপুল পরিমাণ পাওনা ফাঁকি দিতে প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধাররা অভাবনীয় জালিয়াতি ও প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছে। প্রকাশিত প্রতিবেদনটি যুক্ত করে রিট করা হয়েছে। সে রিটের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট রুলসহ আদেশ দিয়েছেন।
এমএইচডি/এমজে