সিলেটের অনিল বিল থেকে কৃষিকাজে সেচে বাধা না দিতে নির্দেশ

সরকারি জলমহাল ব্যবস্থাপনা নীতি-২০০৯ এর ২২ বিধি অনুযায়ী সিলেটের অনিল বিল সংলগ্ন কৃষি জমিতে সেচ মৌসুমে সেচ প্রদান বিঘ্নিত না করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে এই বিল থেকে কৃষি জমিতে সেচ মৌসুমে সেচ প্রদান বিঘ্নিত না করার ক্ষেত্রে নিষ্ক্রিয়তা প্রশ্নে রুল জারি করেছেন আদালত।
বিজ্ঞাপন
সিলেটের দক্ষিণ সুরমার কৃষক মো. আক্তার হোসেনের করা রিটের শুনানি শেষে রোববার (১৬ মার্চ) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এই আদেশ দেন। গোলাপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও একই উপজেলার সহকারী কমিশনার ভূমিকে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শাহ নাভিলা কাশফি। আর রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তামিম খান।
বিজ্ঞাপন
রিটকারী আইনজীবী শাহ নাভিলা কাশফি বলেন, ৭ একরের অধিক সিলেটের অনিল বিল ঘিরে প্রায় ১০০ একর ফসলি জমি রয়েছে। যেখানে কয়েকটি গ্রামের মানুষ তাদের কৃষি কাজের সেচ দিয়ে থাকেন। কিন্তু গত বছর থেকে কৃষকরা কিছু ব্যক্তির দ্বারা সেচ কাজে বাধার সম্মুখীন হচ্ছিলেন। একপর্যায়ে অনিল বিল সংলগ্ন গ্রামের একজন কৃষক হাইকোর্টে রিট করেন। সে রিটের শুনানি শেষে আজ হাইকোর্ট রুলসহ আদেশ দিয়েছেন।
সরকারি জলমহাল ব্যবস্থাপনা নীতি ২০০৯ এর ২২ বিধিতে বলা হয়েছে যে, সব জলমহালসমূহ থেকে (নদী, হাওর, খাল ইত্যাদি) জমিতে সেচ প্রদানের সুযোগ রয়েছে সেখান থেকে সেচ মৌসুমে সেচ প্রদান বিঘ্নিত করা যাবে না। যে সকল বন্ধ জলমহাল বন্দোবস্তু/ইজারা দেওয়া হবে, সেখান থেকে মৎস্য চাষের ক্ষতি না করে পরিমিত পর্যায়ে সেচ কার্যক্রম পরিচালনার সুযোগ থাকবে।
এমএইচডি/জেডএস