খালেদার কয়লা খনি দুর্নীতি মামলায় অপরাধের উপাদান রয়েছে : হাইকোর্ট
দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ আসামিদের অপরাধের উপাদান রয়েছে বলে পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে আগামী ছয় মাসের মধ্যে মামলাটি নিষ্পত্তির জন্য বিচারিক আদালতকে নির্দেশ দিয়েছেন।
সোমবার (২৪ মে) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কেএম হাফিজুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চের প্রকাশিত রায়ে এ পর্যবেক্ষণ ও নির্দেশনা এসেছে।
৬৮ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায়ের পর্যবেক্ষণে আদালত বলেছেন, এ মামলায় আসামিদের অপরাধের উপাদান রয়েছে। এখন সেটি সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে নির্ধারিত হবে। ছয় মাসের মধ্যে মামলাটি নিষ্পত্তির জন্য বিচারিক আদালতকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ মামলায় এক নম্বর আসামি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
রায় প্রকাশের বিষয়ে দুদক আইনজীবী খুরশিদ আলম খান বলেন, একটা পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ হয়েছে। রায়ে আদালত বলেছেন এ মামলায় খালেদা জিয়াসহ আসামিদের অপরাধের উপাদান পাওয়া গেছে। কার কতটুকু দায়, তা সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে প্রমাণিত হবে। বিচারিক আদালতকে ছয় মাসের মধ্যে মামলাটি নিষ্পত্তি করতে বলেছেন আদালত।
খালেদা জিয়া ছাড়াও মামলার অপর আসামিরা হলেন- সাবেক অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমান (মৃত), সাবেক স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী আবদুল মান্নান ভূঁইয়া (মৃত), সাবেক শিল্পমন্ত্রী মতিউর রহমান নিজামী (মৃত্যুদণ্ড কার্যকর), সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী আলী আহসান মো. মুজাহিদ (মৃত্যুদণ্ড কার্যকর), এম কে আনোয়ার (মৃত), এম শামসুল ইসলাম (মৃত), ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আলতাফ হোসেন চৌধুরী, ব্যারিস্টার আমিনুল হক (মৃত), একেএম মোশাররফ হোসেন (মৃত), জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব নজরুল ইসলাম, পেট্রোবাংলার সাবেক চেয়ারম্যান এস আর ওসমানী, পেট্রোবাংলার সাবেক পরিচালক মঈনুল আহসান, বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম ও খনির কাজ পাওয়া কোম্পানির স্থানীয় এজেন্ট হোসাফ গ্রুপের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন।
বড়পুকুরিয়া মামলা বাতিল চেয়ে ২০০৯ সালে আবেদন করছিলেন সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী আমিনুল হক। এরপর তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট। ওই রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে রুলটি খারিজ করে আজ পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ হলো। ২০১৯ সালের ২১ এপ্রিল সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী আমিনুল হক মারা যান।
দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি থেকে কয়লা উত্তোলন ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণে ঠিকাদার নিয়োগে অনিয়ম এবং রাষ্ট্রের ১৫৮ কোটি ৭১ লাখ টাকা ক্ষতি ও আত্মসাতের অভিযোগে ২০০৮ সালে শাহবাগ থানায় এ মামলাটি করে দুদক।
এমএইচডি/জেডএস