স্টেশনের মনিটরে অশ্লীল দৃশ্য : জড়িতদের শনাক্তে আদালতের নির্দেশ
রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশনের মনিটরে অশ্লীল ভিডিও প্রদর্শনের সঙ্গে জড়িতদের খুঁজে বের করতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
রোববার (৫ জানুয়ারি) ঢাকার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. তাজুল ইসলাম সোহাগ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এই আদেশ দেন।
ওই আদালতের স্টেনোগ্রাফার জালিজ মাহমুদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন ফৌজদারি কার্যবিধির ১৯০ (১)সি ধারায় স্বতঃপ্রণোদিতভাবে আমলে নিয়ে আদালত একটি মিস মামলা রেকর্ড করেন। একইসঙ্গে প্রকাশিত ও প্রচারিত সংবাদের সরেজমিনে অনুসন্ধান করে আদেশ প্রাপ্তির ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে জড়িত ব্যক্তিদের পূর্ণাঙ্গ নাম-ঠিকানাসহ প্রতিবেদন দাখিলের জন্য বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা (ডিসিও), বাংলাদেশ রেলওয়ে, ঢাকাকে নির্দেশ দেন। অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তাকে সার্বিক সহায়তা দেওয়ার জন্য অফিসার ইনচার্জ, ঢাকা রেলওয়ে থানা, ঢাকা রেলওয়ে জেলাসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশ দেওয়া হয়। এ বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত।
আদালতের আদেশে বলা হয়েছে, উক্ত কার্যটি ২০১২ সালের পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনের ৮(৩)(৪)ও(৫) ধারা এবং ১৮৬০ সালের দণ্ডবিধি আইনের ২৯২ ও ২৯৩ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
এ ঘটনার বিষয়ে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে সংবাদ প্রকাশিত হয়। প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়, গত ২৭ ডিসেম্বর (শুক্রবার) গভীর রাতে অশ্লীল ভিডিও প্রচার শুরু হলে উপস্থিত যাত্রীরা সেটি ভেঙে দেন। এই ডিজিটাল মনিটরে কোন ট্রেন কখন ছাড়বে, কখন পৌঁছাবে এ সংক্রান্ত তথ্য প্রদর্শন করা হয়। শুক্রবার দিবাগত রাত ২টা ৫ মিনিটের দিকে হঠাৎ ডিজিটাল মনিটরে অশ্লীল ভিডিও চলতে শুরু করে। প্রায় ২০ মিনিটের বেশি সময় ধরে চলেছে। এ সময় যাত্রীরা বিব্রত ও ক্ষুব্ধ হন। উপস্থিত লোকজন এটি বন্ধ করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে একপর্যায়ে এক যাত্রী পাথর ছুড়ে ডিজিটাল মনিটর ভেঙে ফেলেন।
এ বিষয়ে ঢাকা বিভাগীয় রেলওয়ের বিভাগীয় ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ মহিউদ্দিন আরিফ সাংবাদিকদের বলেন, ঘটনার কারণ উদঘাটনে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেবেন তারা।
এনআর/জেডএস