দুদকের মামলায় গ্রেপ্তার পলক-জ্যোতি-হেনরী
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামলের ছেলে শাফি মোদ্দাছির খান জ্যোতি ও সিরাজগঞ্জ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য জান্নাত আরা হেনরীকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
বুধবার (১ জানুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ মো: জাকির হোসেন দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।
দুদকের কোর্ট পরিদর্শক আমির হোসেন ঢাকা পোস্টকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এদিন পৃথক তিনটি আবেদনে তাদেরকে গ্রেপ্তার দেখাতে আবেদন করে দুদক। দুদকের পক্ষে প্রসিকিউটর মীর আহমেদ আলী সালাম শুনানি করেন।
পলককে গ্রেপ্তার দেখাতে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও দুদকের সহকারী পরিচালক আল আমিন। আবেদনে বলা হয়, আসামি পলক যাত্রাবাড়ী থানার এক মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে জেল হাজতে অন্তরীণ রয়েছেন। তিনি রুজু করা মামলায় দুর্নীতি দমন কমিশন, সমন্বিত জেলা কার্যালয়, ঢাকা ১ এর মামলা নং ০৫, ধারাঃ দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১), মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪/২) ও ৪০৩) তৎসহ ১৯৪৭ সনের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের (৫৭২) এর এজাহারভুক্ত আসামি। জেল হাজতে অন্তরীণ এজাহারনামীয় বর্ণিত আসামিকে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ প্রদান একান্ত প্রয়োজন।
জ্যোতিকে গ্রেপ্তার দেখাতে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও দুদকের সহকারী পরিচালক মো. আবুল কালাম আজাদ।
আবেদনে বলা হয়, আসামি শাফি মোদ্দাছির খান (জ্যোতি), তার বাবা সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল পরস্পর যোগসাজশে ১৯,৮৯,৭৮,৫০২/ টাকা মূল্যের জ্ঞাতআয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনপূর্বক নিজ ভোগ দখলে রাখা এবং তার নামে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান খুলে নিজ ও ওই প্রতিষ্ঠানের নামে ব্যবহৃত ব্যাংক হিসাবে মোট ৮৪,৭৭,৫৭,৫৭২/- টাকা হস্তান্তর, রূপান্তর, স্থানান্তরের মাধ্যমে সন্দেহজনক অসংখ্য লেনদেন করে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭/১), মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২)ও ৪(৩) এবং দন্ডবিধির ১০৯ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।
হেনরীকে গ্রেপ্তার দেখানোর জন্য আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও দুদকের সহকারী পরিচালক আসিফ আল মাহমুদ।
আবেদনে বলা হয়, আসামি হেনিরীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি ও অপরাধমূলক অসদাচারণ এর মাধ্যমে ৫৭,১৩,০৭,২২৩/- (সাতান্ন কোটি তের লক্ষ সাত হাজার দুইশত তেইশ) টাকা জ্ঞাত আয়ের উৎসের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদ অর্জন ও নিজ ভোগ দখলে রাখায় এবং ৩৫টি ব্যাংক একাউন্টে ২০০২,৬৬,৬৬,৫৭৭/- (দুই হাজার দুই কোটি ছেষটি পক্ষ ছেষট্টি হাজার পাঁচশত সাতাত্তর) টাকার এবং ৪১৩,৭৮,০০,০৪৬ (তের কোটি আটাত্তর লক্ষ ছেচল্লিশ) মার্কিন ডলারের সন্দেহজনক লেনদেন করে মানিলন্ডারিং এর সম্পৃক্ত অপরাধ 'দুর্নীতি ও ঘুষ' সংঘটনের মাধ্যমে প্রাপ্ত অর্থ বা সম্পত্তির অবৈধ উৎস গোপন বা আড়াল করার উদ্দেশ্যে উহার রূপান্তর/স্থানান্তর। হস্তান্তর করে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১), দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হওয়ায় সূত্রোস্থ মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।
এনআর/এসএম