ট্রান্সকম গ্রুপের সিমিন রহমানসহ ৫ আসামিকে অব্যাহতি
রাজধানীর গুলশান থানায় দায়ের করা মামলায় ট্রান্সকম গ্রুপের সিইও সিমিন রহমানসহ পাঁচজনকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. সানাউল্লাহ এ আদেশ দেন।
ট্রান্সকম গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রয়াত লতিফুর রহমানের ছোট মেয়ে শাযরেহ হক ২০২২ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি গুলশান থানায় এ মামলা দায়ের করেন।
মামলায় অভিযোগের বিষয় ছিল ট্রান্সকম গ্রুপের সাবেক চেয়ারম্যান বাদীর বাবা লতিফুর রহমান তার স্ত্রীকে বিভিন্ন ব্যাংকসহ আর্থিক প্রতিষ্ঠানে রেখে যাওয়া ১০০ কোটি টাকার নমিনি নিয়োগ করে রেখে যান। বাদী অভিযোগ বলেন, অন্যায়ভাবে এই টাকা আত্মসাৎ করে তার মা তার বড় বোনসহ অন্যান্য আসামি যোগসাজশে তাকে বঞ্চিত করা হয়। পরবর্তী সময়ে থানার দায়ের করা ওই মামলাটি পিবিআই কর্তৃক তদন্ত কার্যক্রম পরিচালিত হয় তদন্ত শেষে পিবিআই আসামিদের অব্যাহতি দিয়ে ফাইনাল রিপোর্ট দাখিল করেন। আজকে তা আদালত গ্রহণ করে আসামিদের অব্যাহতি প্রদান করেন।
সিমিন রহমানের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ সিদ্দিক উল্লাহ বলেন, এই মামলাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট কাহিনি সৃজন করে তৎকালীন কথিত ব্যবসায়ী এস আলম গ্রুপের কর্ণধার তার সহায়তায় সম্পূর্ণ হয়রানিমূলকভাবে এই মামলাটি দায়ের করা হয়। বাদীর বাবা লতিফুর রহমান আইনগতভাবে তার স্ত্রীকে ব্যাংকে রেখে যাওয়ার টাকার নমিনি নিয়োগ করে যান। প্রচলিত সব আইন মেনে বাদীর মা অর্থাৎ লতিফুর রহমানের স্ত্রী শাহনাজ রহমান তার স্বামীর রেখে যাওয়া টাকা ব্যাংক থেকে উত্তোলন করে নিজ প্রয়োজনে বিভিন্নভাবে ব্যয় করেন। এটা তার একান্তই ব্যক্তিগত বিষয়। এর সঙ্গে সিমিন রহমানের কোনো রকমের সম্পৃক্ততা নেই পিবিআই স্বচ্ছতার সঙ্গে তদন্ত শেষে সিমিন রহমান সহ সব আসামিদের অব্যাহতিদানের প্রার্থনা করে গত ১০ নভেম্বর আদালতে চূড়ান্ত রিপোর্ট দাখিল করে। ওই চূড়ান্ত রিপোর্টের বিপক্ষে বাদি না রাজি দাখিল করে যা আজ আদালতে শুনানি শেষে আদালত বাদীর না রাজি আবেদন খারিজ করে আসামিদের অব্যাহতি প্রদান করেন।
আইনজীবী বলেন, সিমিন রহমানের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা সম্পূর্ণভাবে মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে।
এমএইচডি/এসএম