জিয়াউল আহসানের বিষয়ে যা বললেন আইনজীবী বোন
জুলাই-আগস্টের গণহত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) জিয়াউল আহসানকে বুধবার (২০ নভেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে তোলা হয়। ট্রাইব্যুনালে তার পক্ষে আইনজীবী হিসেবে ছিলেন বোন ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী নাজনীন নাহার।
ট্রাইব্যুনালে আইনজীবী নাজনীন নাহার সাংবাদিকদের বলেন, আজকে আমরা ওকালতনামা দাখিল করতে পেরেছি। সেই দরখাস্তটির বিষয়ে আদালতের নিয়ম অনুযায়ী প্রসিকিউটর বলেছেন সময় দরকার। দরখাস্তটি প্রপার ওয়েতে রেজিস্ট্রারের মাধ্যমে আসতে হবে। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে আমাদেরকে দরখাস্তটি ফাইল করতে হবে। দুই সপ্তাহের মধ্যে এ বিষয়ে শুনানি হবে।
দেশবাসীসহ সবার কাছে অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, মিডিয়া ট্রায়াল অত্যন্ত জঘন্য জিনিস। আপনারা সেটা থেকে বিরত থাকবেন। জিয়াউল আহসানের নাম শুনলে মিডিয়া বা টেলিভিশনের সবাই শুনে। তাকে সম্পূর্ণ ভুলভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে। উনি (জিয়াউল আহসান) একজন আর্মির কর্মকর্তা ছিলেন। উনি একজন অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। আপনারা বলে থাকেন যে উনি বরখাস্ত, উনি বরখাস্ত না, উনি অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন
তিনি আরো বলেন, উনি (জিয়াউল আহসান) যেখানে কর্মরত ছিলেন, এটা একটা টেকনিক্যাল অফিস। ওই অফিসে কোনো আর্মড ফোর্স নেই, আয়নাঘর নেই। উনি কখনো ডিজিএফআই-এ চাকরি করেননি। আয়াঘর নামে যে ভয়ংকর তথ্য, সেই তথ্য নিয়ে মিডিয়াতে ট্রায়াল করছে, এ ট্রায়ালটা উনার পরিবারের জন্য এবং উনার জন্য অত্যন্ত মর্মান্তিক। একটা মানুষকে মিডিয়া ট্রায়ালের মাধ্যমে তাকে হেয় করার কোনো অধিকার কারো নেই। এটা বাক স্বাধীনতা নয়। সাংবাদিকতার যে আইন আছে, যে ইথিক্স আছে, সেই ইথিক্স নিয়ে আপনারা কথা বলবেন।
জুলাই-আগস্টের গণহত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় সাবেক পুলিশ প্রধান ও ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) সাবেক মহাপরিচালকসহ আট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এক মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করতে নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। একসঙ্গে তাদের ট্রাইব্যুনালের মামলায় কারাগারে রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এই মামলার পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ১৯ ডিসেম্বর দিন ধার্য করা হয়।
এমএসআই/জেডএস