অভিনেত্রী হিমুর মৃত্যু : মামলার প্রতিবেদন ৫ সেপ্টেম্বর
রাজধানীর উত্তরায় নিজ বাসায় অভিনেত্রী হুমায়রা নুসরাত হিমুর আত্মহত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ পিছিয়ে আগামী ৫ সেপ্টেম্বর ধার্য করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু এদিন পুলিশ প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেনি। এজন্য ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ নুরুল হুদা চৌধুরীর আদালত প্রতিবেদন দাখিলের নতুন এ তারিখ ধার্য করেন।
আদালতে উত্তরা পশ্চিম থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক নওশের আলী এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
হিমুর মৃত্যুর ঘটনায় ২০২৩ সালের ২ নভেম্বর রাতে তার খালা নাহিদ আক্তার রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর হিমুর বন্ধু জিয়াউদ্দিন ওরফে রুফিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
মামলায় হিমুর খালা নাহিদ আক্তার অভিযোগ করেছেন, জিয়াউদ্দিন রুফি (৩৬) হিমুর বয়ফ্রেন্ড। ছয় মাস আগে থেকে তিনি নিয়মিত হিমুর বাসায় যাতায়াত এবং মাঝে মধ্যে রাত্রিযাপন করতেন। ১ নভেম্বর রুফির মোবাইল নম্বর ও ভিগো লাইভ আইডি ব্লক দেন হিমু। বিষয়টি নিয়ে উভয়ের মধ্যে ঝামেলা হয়। ২ নভেম্বর বিকেল ৩টার দিকে রুফি বাসায় এসে কলিং বেল দেন। মিহির দরজা খুলে দিলে তিনি বাসার ভেতরে যান। মিহির তার রুমে চলে যান। ৫টার দিকে রুফি মিহিরের রুমে গিয়ে চিৎকার করতে করতে বলেন, হিমু আত্মহত্যা করেছে। তখন মিহির তাকে জিজ্ঞাসা করে, আপনি-তো রুমেই ছিলেন। তখন তিনি বাথরুমে ছিলেন বলে জানান। এসময় হিমু রুমের সিলিংফ্যানের হুকে রশি লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। মিহির সঙ্গে সঙ্গে হিমুর রুমে ঢুকে তাকে গলায় রশি লাগিয়ে ফাঁস দেওয়া অবস্থায় দেখতে পান। রুমে থাকা দুটি কাঁচের গ্লাস ভাঙা অবস্থায় দেখতে পান। তাৎক্ষণিকভাবে তারা দুজন হিমুকে উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তখন রুফি হিমুর ব্যবহৃত মোবাইল ফোন দুটি নিয়ে কৌশলে চলে যান।
এনআর/জেডএস