শিক্ষিকাকে যৌন হয়রানি : ১১ আগস্ট প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ
বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) এক শিক্ষিকাকে যৌন হয়রানির অভিযোগে করা মামলায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক রশি কামালের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ১১ আগস্ট দিন ধার্য করেছেন আদালত।
রোববার (৭ জুলাই) মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। তবে এদিন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রতিবেদন দাখিল না করায় ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তরিকুল ইসলাম প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নতুন এ দিন ধার্য করেন।
আদালতে পল্লবী থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক সেলিম রেজা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন
জানা যায়, অনলাইনে উত্যক্ত ও ধর্ষণের হুমকির অভিযোগে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ঢাকার পল্লবী থানায় মামলা দায়ের করেন ওই ভুক্তভোগী নারী।
এজাহারে তিনি অভিযোগ করেন, ২০২৩ সালের আগস্ট মাসে আমার একটি গবেষণা ইন্দোনেশিয়ান জার্নাল অব সোশ্যাল রিসার্চ নামক জার্নালে প্রকাশিত হয়। গত ১৭ মার্চ আমার বর্তমান বাসায় অবস্থানকালে আমার ব্যক্তিগত ই-মেইলে আমার প্রকাশিত গবেষণাপত্রটি চেয়ে আসামি রশি কামাল তার মেইল থেকে অনুরোধ করেন। তিনি শান্ত-মারিয়াম বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতা করেছেন বলে পরিচয় দেন। পরে আমি আমার গবেষণাপত্রটি তার মেইলে পাঠিয়ে দেই। আমার গবেষণাপত্রটি তিনি পড়ে প্রশংসা করেন।
এছাড়া একটি কনফারেন্সে প্রকাশের জন্য আমার সঙ্গে যৌথভাবে গবেষণা করার আগ্রহ প্রকাশ করেন। আমার কাছে সিভি চাইলে আমি তা প্রদান করি। পরবর্তীতে আমি তার রিসার্চ গেটের লিংক চাইলে তিনি তার ই-মেইল পাঠান। আমি তার গবেষণাপত্রগুলো পড়ে বুঝতে পারি গবেষণাগুলো ইঞ্জিনিয়ারিং সংক্রান্ত, যা আমার গবেষণার বিষয় থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন। তাই আমি তার সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহ প্রকাশ করিনি। তবুও তিনি আমার সঙ্গে স্কাইপিতে, ভিডিও কলে কথা বলার জন্য বার বার অনুরোধ করেন, কিন্তু আমি তার সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বলতে রাজি হইনি।
এরপর গত ২৯ মার্চ রাতে তিনি আমাকে ফোন নিয়ে যৌন হয়রানিমূলক কথাবার্তা বলে ফোন রেখে দেন। তিনি আমার হোয়াটসঅ্যাপসহ মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল দিয়ে নিজেকে রশি কামাল পরিচয় দিয়ে আক্রমণাত্মক ভাষা ব্যবহার করেন। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৯ মার্চ রাত থেকে ৭ এপ্রিল পর্যন্ত বিভিন্ন সময় হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর থেকে আমার হোয়াটসঅ্যাপে অশ্লীল যৌন হয়রানিমূলক কথাবার্তা বলে ধর্ষণের হুমকি প্রদান করেন। এ সময় হোয়াটসঅ্যাপে পর্নো ছবি পাঠান। আমি তাকে এমন আচরণের কারণ জানতে চাইলে তিনি আমাকে গালিগালাজ করে, নোংরা ছবি নেট দুনিয়ায় ছেড়ে দিয়ে আমার সম্মান ও সামাজিক মর্যাদাহানি করবেন বলে হুমকি দেন।
এনআর/এমএসএ