সনদ বাণিজ্য : কারিগরি শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রী রিমান্ডে
সনদ বাণিজ্যে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আলী আকবর খানের স্ত্রী মোছা. সেহেলা পারভীনের (৫৪) দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
রোববার (২১ এপ্রিল) তাকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাকে ৫ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা লালবাগ গোয়েন্দা বিভাগের পরিদর্শক মো আমিরুল ইসলাম। রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন আসামি পক্ষের আইনজীবী। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেনের আদালত তার দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আদালতে পুলিশের দেওয়া রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, এই মামলায় ইতোপূর্বে গ্রেপ্তার আসামি বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সিস্টেম এনালিস্ট এ কে এম শামসুজ্জামানকে পরিদর্শন শাখা থেকে কম্পিউটার সেলের সিস্টেম অ্যানালিস্ট হিসেবে পোস্টিংয়ের জন্য সাড়ে ৫ লাখ টাকা এবং পরবর্তীতে জাল সার্টিফিকেট তৈরি করলে কোনো প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবে না মর্মে ৩ লাখ টাকা সেহেলা পারভীনকে দিয়েছেন। এই মর্মে আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় দোষ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন এ কে এম শামসুজ্জামান। পরবর্তীতে গতকাল সেহেলা পারভীনকে উল্লেখিত ঘটনা সংক্রান্তে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি একে এম শামসুজ্জামানের কাছ থেকে ৩ লাখ টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করেন ও পোস্টিং সংক্রান্তে সাড়ে ৫ লাখ টাকার কথা কৌশলে এড়িয়ে যান।
সেহেলা পারভীনের স্বামী মো আলী আকবর খান বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান হওয়ায় তার স্বামীর দ্বারা ইতোপূর্বে গ্রেপ্তার হওয়া আসামি একে এম শামসুজ্জামানকে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ৩ লাখ টাকা গ্রহণ করেছিলেন বলে স্বীকার করেন। সেহেলা পারভীনের সুযোগ সুবিধার প্রতিশ্রুতির দ্বারা প্রভাবিত হয়ে আসামি একে এম শামসুজ্জামান নির্ভয়ে জাল সার্টিফিকেট তৈরি করে দেশব্যাপী বিভিন্ন সার্টিফিকেট প্রত্যাশিতদের কাছে বিক্রি করে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে আপলোড করেন। মামলার ঘটনার সঙ্গে আসামি সেহেলা পারভীনের জড়িত থাকার বিষয়ে প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে।
এনআর/এসকেডি