রাজনীতি নিষিদ্ধের ক্ষমতা বুয়েট কর্তৃপক্ষের নেই : রিটকারী আইনজীবী
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিটের শুনানিতে আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক বলেছেন, বুয়েট কর্তৃপক্ষ মিছিল-মিটিং করার ক্ষেত্রে কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারে। তবে কোনো সংগঠনের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার ক্ষমতা তাদের নেই।
সোমবার (১ এপ্রিল) বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের হাইকোর্ট বেঞ্চে শুনানিতে তিনি এসব কথা বলেন।
পরে আইনজীবী শাহ মঞ্জরুল হক সাংবাদিকদের বলেন, বুয়েটের শিক্ষার্থী আবরার হত্যাকাণ্ডের পর ২০১৯ সালের অক্টোবরে বুয়েট কর্তৃপক্ষ একটি জরুরি নোটিশ জারি করে। নোটিশে ছাত্র সংগঠন ও সংগঠনের কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করে।
আরও পড়ুন
তিনি বলেন, আমরা আদালতে বলেছি, বুয়েটের এ সিদ্ধান্ত দেশের সংবিধানের ৩৭, ৩৮ ও ৩৯ অনুচ্ছেদের পরিপন্থি। সমাবেশ করার, রাজনৈতিক দল করার ও বাকস্বাধীনতার অধিকার আমাদের মৌলিক অধিকার। তবে বুয়েটের অর্ডিন্যান্স ১৯৬১-এ ভিসি এবং প্রো-ভিসিকে একটা ক্ষমতা দেওয়া আছে, ছাত্ররাজনীতি নিয়ন্ত্রণের জন্য কিছু পদক্ষেপ নিতে পারবেন। এর ফলে তারা মিছিল-মিটিং করার ক্ষেত্রে কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারবেন। তবে কোনো সংগঠনের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার ক্ষমতা তাদের নেই।
শাহ মঞ্জরুল হক বলেন, আদালত আমাদের বক্তব্য শুনে বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করে জরুরি ভিত্তিতে জারি করা নোটিশ স্থগিত করে দিয়েছেন এবং এই নোটিশ কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন। এ আদেশের ফলে বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি করতে আর কোনো বাধা রইল না।
আরেক সিনিয়র আইনজীবী ও সাবেক রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন সাংবাদিকদের বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররাজনীতি থেকে গণতান্ত্রিক ধারা এবং নেতৃত্ব বেরিয়ে আসে। যে কারণে কোনোভাবেই রাজনীতি করতে বিশ্ববিদ্যালয় বাধা দিতে পারে না। সংবিধান পরিপন্থি কোনো সিদ্ধান্ত কোনো বিশ্ববিদ্যালয় নিতে পারবে না।
সুজন বলেন, বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের সুযোগ নিয়ে বিএনপি-জামায়াত সাধারণ ছাত্রদের ব্যবহার করছে। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে তারা এটি করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
এমএইচডি/এসএসএইচ