৬ কোটি টাকা আত্মসাৎ, গ্রেপ্তারের পর কারাগারে ‘প্রতারক’ জুয়েল
ভারত থেকে চাল আমদানি আর কনস্ট্রাকশন কাজে বিনিয়োগের কথা বলে পরিচিতজনদের কাছ থেকে প্রায় ৬ কোটি টাকা হাতিয়ে নেন মাহবুব হাসান জুয়েল নামে এক ব্যক্তি। ভুক্তভোগীরা মামলা করার পর এক বছর ধরে পালিয়ে থাকেন তিনি। গত ১৩ ফেব্রুয়ারি পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডির একটি টিম তাকে গ্রেপ্তার করে। আজ ঢাকার সিএমএম কোর্টের একটি আদালত তাকে জেল হাজতে পাঠান।
আদালতের মতিঝিল থানার নিবন্ধন বিভাগ ও সিআইডি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
আসামি মাহবুব হাসান জুয়েল মতিঝিলের এনবিএম এগ্রো ফুড ও এনবিএম হাউজিংয়ের স্বত্বাধিকারী। তার পিতার নাম সালাউদ্দিন। থাকেন ঢাকার সবুজবাগে। সিআইডি পুলিশের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা আজ সোমবার তার ৫ দিনের রিমান্ড চেয়ে সিএমএম কোর্টে আবেদন করেন। আদালতের বিচারক ফারাহ দিবা ছন্দা রিমান্ড নামঞ্জুর করে আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
মাহবুবকে আদালতে আনার খবর পেয়ে পাওনাদার অনেকে সিএমএম কোর্টে এসে হাজির হন। তারা মাহবুবকে ‘প্রতারক’ আখ্যা দিয়ে তার শাস্তি দাবি করেন এবং তাদের পাওনা টাকা আদায় করে দিতে আদালতের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
মাহবুবের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি বিভিন্ন ব্যবসায় কাজে লাগানোর কথা বলে অন্তত ১৬ ব্যক্তির কাছ থেকে বড় অঙ্কের টাকা নেন। ভুক্তভোগীদের দাবি, এর পরিমাণ প্রায় ৬ কোটি টাকা। নির্দিষ্ট সময়ে এই টাকা ফেরত দেবেন মর্মে মাহবুব চুক্তি সই করেন এবং বিনিয়োগকারীদের সবাইকে বিভিন্ন ব্যাংকের চেক দেন।
বিনিয়োগকারীদের একজন এবং মতিঝিল থানার মামলার বাদী শফিকুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমি মাহবুবের অফিসে চাকরি করতাম। বেশি অর্থ লাভের আশা দিয়ে তিনি আমার কাছ থেকে ১২ লক্ষ টাকা নেন। তিন মাসের মধ্যে সেই টাকা লাভসহ ফেরত দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এখন পর্যন্ত এক টাকাও দেননি। টাকা চাইতে গেলে নানা টালবাহানা করেন। এক বছর আগে ঠিকানা পরিবর্তন করে আত্মগোপনে চলে যান তিনি।
এনআই/এমজে