রাষ্ট্র ও জনগণের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করতে হবে : হাইকোর্ট
হাইকোর্ট বলেছেন, ডান্ডাবেড়ি পরানোর বিষয়ে শুধু রুল দিলে হবে না। মিডিয়ায় নিউজ বা বাহবা কুড়ানোর জন্য রুল দিতে চাই না। মানুষকে সেইভ করতে হবে। এ বিষয়ে আমরা একটি গাইডলাইন করে দেব।
মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন।
আদালত বলেন, রাষ্ট্র ও জনগণের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করতে হবে। পরে আদালত, শীর্ষ সন্ত্রাসী, জঙ্গি ও দুর্ধর্ষ আসামিদের ছাড়া গণহারে আসামিদের ডান্ডাবেড়ি পরানো সংক্রান্ত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিপত্র কঠোরভাবে অনুসরণ করতে বলেছে।
আরও পড়ুন
ওই পরিপত্রে বলা হয়েছে, শীর্ষ সন্ত্রাসী, জঙ্গি, দুর্ধর্ষ প্রকৃতির বন্দিদের আদালতে হাজিরা বা অন্যত্র আনা-নেওয়ার ক্ষেত্রে ডান্ডাবেড়ি পরানো যাবে। আইনজীবী বলেন, এই পরিপত্র অনুসরণ করতে বলেছেন আদালত। এর বাইরে কোনো বন্দি বা আসামিকে ডান্ডাবেড়ি পরানো যাবে না। একইসঙ্গে বাবার জানাজায় ছাত্রদলের এক নেতাকে ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে আনার বৈধতা নিয়েও রুল জারি করেছেন আদালত। এ বিষয়ে রুল শুনানির জন্য আগামী ১১ মার্চ দিন ধার্য করেন আদালত।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট মাকসুদ উল্লাহ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সেলিম আজাদ।
এর আগে গতকাল (২৯ জানুয়ারি) দেশের ৬৪ কারাগারে গণহারে ডান্ডাবেড়ি পরানো বন্ধ চেয়ে রিটের আদেশের জন্য আজকের দিন ধার্য করেন হাইকোর্ট।
গত ১৫ জানুয়ারি বাবার জানাজায় ছাত্রদলের এক নেতাকে ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে আনার বিষয়ে হাইকোর্টের নজরে আনেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। সেদিন আদালত এ বিষয়ে রিট করার পরামর্শ দেন। পরদিন ১৬ জানুয়ারি বাবার জানাজায় ছাত্রদলের এক নেতাকে ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে আনার ঘটনা চ্যালেঞ্জ করে রিট করা হয়। রিটে দেশের সব কারাগারে গণহারে ডান্ডাবেড়ি পরানো বন্ধ চাওয়া হয়।
সম্প্রতি ‘বাবার জানাজায় ডান্ডাবেড়ি পায়ে ছাত্রদলের নেতা’ শিরোনামে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়।
প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, প্যারোলে মুক্তি পেয়ে ডান্ডাবেড়ি পরা অবস্থায় বাবার জানাজায় অংশ নিয়েছেন ছাত্রদল নেতা মো. নাজমুল মৃধা। সময় সংক্ষিপ্ত হওয়ার কারণে নির্ধারিত জানাজার আগেই আয়োজন করা হয় বিশেষ জানাজার। গত শনিবার বেলা তিনটার দিকে পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম সুবিদখালী গ্রামে ওই জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজার সময় নাজমুলের হাতকড়া খুলে দেওয়া হলেও খোলা হয়নি পায়ের ডান্ডাবেড়ি। মো. নাজমুল মৃধা পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক। জানাজা শেষে তাকে আবার পটুয়াখালী জেলা কারাগারে পাঠায় পুলিশ।
এমএইচডি/এসএম