ঢাকা-৪ আসনের ফল স্থগিতের আদেশের বিরুদ্ধে আওলাদের আবেদন
ঢাকা-৪ আসনের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফল স্থগিত করে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশের বিরুদ্ধে আবেদন করেছেন বিজয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থী আওলাদ হোসেন।
বুধবার (১০ জানুয়ারি) আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালতে এ আবেদন করা হয়েছে। আওলাদের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গতকাল ঢাকা-৪ আসনের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফল স্থগিত করেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ঢাকা- ৪ আসনে ১৮ টি কেন্দ্রে ভোটে অনিয়মের ঘটনা ১০ দিনের মধ্যে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত স্বতন্ত্র প্রার্থী আওলাদ হোসেনকে বিজয়ী ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ থেকে বিরত থাকতে নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
নৌকার প্রার্থী অ্যাডভোকেট সানজিদা খানমের রিটের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মোতাহার হোসেন সাজু,আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক।
মঙ্গলবার সকালে ১৮টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণে অনিয়মের অভিযোগে ফলাফল বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন ওই আসনের নিকটতম প্রতিদ্বন্দী প্রার্থী অ্যাডভোকেট সানজিদা খানম।
সূত্রাপুর (ডিএসসিসি ওয়ার্ড ৪৭), ডেমরা (ডিএসসিসি ওয়ার্ড ৫১, ৫২, ৫৩, ৫৪, ৫৮, ৫৯) উপজেলা নিয়ে গঠিত ঢাকা-৪ আসন।
এই আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সানজিদা খানমকে পরাজিত করে বিজয়ী হন ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আওলাদ হোসেন। আওলাদ হোসেন মোট ভোট পান ২৪ হাজার ৭৭৫টি। সানজিদা খানম নৌকা প্রতীক নিয়ে ভোট পান ২২ হাজার ৫৭৭টি। এই আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা লাঙল প্রতীক নিয়ে পান ৭ হাজার ৭৯৮ ভোট।
রোববার (৭ জানুয়ারি) দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলে ভোটগ্রহণ। বিক্ষিপ্ত কিছু ঘটনা ছাড়া সারা দেশে নির্বাচন মোটামুটি সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হয়। নির্বাচন হয় ২৯৯ আসনে। ২৮টি রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র মিলে প্রার্থী ছিলেন ১৯৭১ জন। ভোট নেওয়া হয় ব্যালট পেপারে।
২৯৯টি আসনের মধ্যে ২২২টি আসন পেয়েছে আওয়ামী লীগ। জাতীয় পার্টি পেয়েছে ১১টি আসন, স্বতন্ত্র প্রার্থীরা পেয়েছেন ৬২টি আসন, এছাড়া অন্যান্য দল থেকে পেয়েছেন ৩টি আসন।
এমএইচডি/এমএসএ