ঢাকা পোস্টে প্রতিবেদন: কাউন্সিলর মানিকের প্রার্থিতা বাতিল

তথ্য গোপন করে আদেশ নেওয়ায় ঢাকা-৭ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ হাসিবুর রহমান মানিকের প্রার্থিতা বাতিল করেছেন আপিল বিভাগ।
বিজ্ঞাপন
মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে ৬ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে ইসির পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ। অপর প্রার্থীর পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোতাহার হোসেন সাজু।
বিজ্ঞাপন
এর আগে গত ২৬ ডিসেম্বর ঢাকা-৭ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ হাসিবুর রহমান মানিকের প্রার্থিতা বাতিলে আবেদনের শুনানির জন্য আপিল বিভাগে পাঠিয়ে দেন চেম্বার আদালত। আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এ আদেশ দেন।
এর আগে হাইকোর্টের এক বেঞ্চের আদেশ গোপন করে অপর বেঞ্চ থেকে আদেশ নেওয়ার ঘটনায় তার প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে আবেদন করে ইসি। অপর প্রার্থী ইদ্রিস আলীও প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে আবেদন করে। আবেদনে তার তথ্য গোপন নিয়ে ঢাকা পোস্টে প্রকাশিত প্রতিবেদন সংযুক্ত করা হয়।
বিজ্ঞাপন
গত ২০ ডিসেম্বর ঢাকা-৭ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ হাসিবুর রহমান মানিককে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের অনুমতি দিতে এবং তাকে প্রতীক বরাদ্দ দিতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ র রুলসহ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী মো. গোলাম রাব্বানী ও মশিউর আলম। নির্বাচন কমিশনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ব্যারিস্টার কামরুন নাহার মাহমুদ দিপা।
সেদিন ইসির অন্যতম প্রধান আইনজীবী ব্যারিস্টার খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ জানিয়েছিলেন, মানিক এর আগে হাইকোর্টের আরেক বেঞ্চে রিট আবেদন করেছিলেন। সেই বেঞ্চ তার রিট খারিজ করে দেন। সেই তথ্য গোপন করে নতুন করে হাইকোর্টে রিট করেন। এটা হাইকোর্ট রুলস অনুযায়ী বেআইনি। এ কারণে তার প্রার্থিতা বাতিলে চেম্বার আদালতে আবেদন করা হয়।
হাসিবুর রহমান মানিক সিটি করপোরেশনের ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। ঢাকা-৭ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে তিনি মনোনয়নপত্র জমা দেন। তবে তার মনোনয়নপত্র ৪ ডিসেম্বর বাতিল করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। ঋণখেলাপির কারণে তার মনোনয়নপত্র বাতিল হয়। এর বিরুদ্ধে তিনি ইসিতে আপিল করেন, যা ১৪ ডিসেম্বর নামঞ্জুর হয়। এরপর প্রার্থিতা ফিরে পেতে তিনি হাইকোর্টে রিটটি করেন।
মানিকের আইনজীবীরা বলেন, ঋণের বিপরীতে হাসিবুর রহমান ইতোমধ্যে ডাউন পেমেন্ট দিয়েছেন—সংশ্লিষ্ট ব্যাংক তা অনুমোদন করেছে। তিনি ঋণখেলাপি নন। হাইকোর্ট হাসিবুর রহমানকে নির্বাচনে অংশগ্রহণের অনুমতি দিতে এবং প্রতীক বরাদ্দ দিতে নির্দেশ দিয়েছেন। ইতোমধ্যে তিনি প্রতীক পেয়েছেন।
এমএইচডি/এসএম