নারীদের পোশাক পরিবর্তনের ভিডিও রেখে দিত উইমেন্স ওয়ার্ল্ড
রাজধানীর ধানমন্ডিতে উইমেন্স ওয়ার্ল্ড নামের একটি বিউটি পার্লারের বিভিন্ন কক্ষে গোপনে সিসি ক্যামেরা লাগিয়ে আপত্তিকর ভিডিও ধারণের অভিযোগে গ্রেপ্তার তিন আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
কারাগারে যাওয়া আসামিরা হলেন- এমদাদুল হাসান (৫৩), তসলিম আরিফ ইলিয়াস (৫২) ও এইচ এম জুয়েল খন্দকার (৩৩)।
বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) আসামিদের আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদেরকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ধানমন্ডি মডেল থানার উপ-পরিদর্শক জান্নাতুল ফেরদৌস।
আরও পড়ুন
আবেদনে বলা হয়, ধানমন্ডি মডেল থানা এলাকার সাতমসজিদ রোডের ৮০ নম্বর বাড়ির তৃতীয় তলায় উইমেন্স ওয়ার্ল্ড নামের একটি বিউটি পার্লারে অত্যন্ত সুকৌশলে সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে পার্লারে আগত বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার নারীদের পোশাক পরিবর্তন, মেসেজ রুমে গোপন ও স্পর্শকাতর ভিডিও ধারণ ও সংরক্ষণ করে রাখতো। পার্লারে অভিযান চালিয়ে সেখান থেকে ৮টি সিসি ক্যামেরা ও কালো রঙের দুটি ডিজিটাল ভিডিও রেকর্ডার জব্দ করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা এসব কথা স্বীকার করেছেন বলেও আবেদনে উল্লেখ করা হয়।
এদিন শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ নুরুল হুদা চৌধুরীর আদালত আসামিদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। আদালতের ধানমন্ডি মডেল থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক মাহফুজুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এক নারী ভুক্তভোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে ধানমন্ডি থানা পুলিশ উইমেন্স ওয়ার্ল্ড বিউটি পার্লারে অভিযান চালায়। এরপর সেখান থেকে ৮টি সিসি ক্যামেরা ও ক্যামেরার ডিভিআর জব্দ করে পুলিশ। এ ঘটনায় ধানমন্ডি থানার উপ-পরিদর্শক মো. একরামুল হক বাদী হয়ে উইমেন্স ওয়ার্ল্ডের দুই মালিকসহ পাঁচজনের নামে মামলা দায়ের করে। মামলায় পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১২ এর ৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয়।
এরপর মামলায় আটক তিনজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়। তবে মামলার অপর দুই আসামি পার্লারের দুই মালিক তাসলিমা চৌধুরী কনা আলম (৫৭) ও ফারনাস আলম (৩২) পলাতক রয়েছেন। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এনআর/এমজে