পল্লবীতে শাহিন হত্যা মামলার পুনঃতদন্ত প্রতিবেদন পেছাল
রাজধানীর পল্লবীতে নিজ সন্তানের সামনে কুপিয়ে শাহিন উদ্দিনকে হত্যা মামলার পুনঃতদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২১ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) মামলাটির পুনঃতদন্ত প্রতিবেদন জমার জন্য দিন ধার্য ছিল। তবে তদন্ত সংস্থা সিআইডি প্রতিবেদন দাখিল না করায় ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিনা হক তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নতুন এদিন ধার্য করেন।
আদালতের সংশ্লিষ্ট থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক সেলিম রেজা বিষয়টি জানিয়েছেন।
এর আগে, গত ১৩ নভেম্বর এ মামলায় লক্ষ্মীপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও ইসলামী গণতান্ত্রিক পার্টির চেয়ারম্যান এম এ আউয়ালসহ ১৬ জনকে আসামি করে দেওয়া সম্পূরক চার্জশিটে বাদীর নারাজি গ্রহণ করেন আদালত। ওইদিন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তরিকুল ইসলামের আদালতে নারাজি দেন মামলার বাদী আকলিমা বেগম। আদালত তার জবানবন্দি গ্রহণ করে সিআইডিকে তদন্ত করে ১৪ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
গত ১৭ সেপ্টেম্বর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন আদালতের পল্লবী থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখায় এ সম্পূরক চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই পুলিশের পরিদর্শক মনির হোসেন।
মামলার অপর আসামিরা হলেন, আবু তাহের, সুমন বেপারী, মুরাদ হোসেন, টিটি শেখ ওরফে টিটু, গোলাম কিবরিয়া খান, ইব্রাহিম সুমন ওরফে বাওয়া সুমন, শফিকুল ইসলাম ওরফে শফিক, রকি তালুকদার ওরফে রকি, নুর মোহাম্মদ হাসান, ইকবাল হোসেন ওরফে ইকবাল নুর, শরিফ, তৌকিরুল ইসলাম ওরফে ইমন, তুহিন মিয়া, হারুন অর রশীদ ওরফে হারুন ও প্রতীক আহম্মেদ সজীব। আসামিদের মধ্যে নয়জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে এ মামলায় লক্ষ্মীপুর-১ আসনের সাবেক এমপি এম এ আউয়ালসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক সৈয়দ ইফতেখার হোসেন। পরবর্তী সময়ে গত বছরের ১২ মে আদালত শাহিন উদ্দিনের মায়ের নারাজি আবেদন গ্রহণ করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) মামলাটি পুনরায় তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
২০২১ সালের ১৬ মে শাহিন উদ্দিনকে হত্যার পর ওই রাতেই নিহতের মা আকলিমা বেগম বাদী হয়ে পল্লবী থানায় সাবেক এমপি আউয়ালসহ ২০ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০২১ সালের ১৬ মে বিকেল ৪টার দিকে সুমন ও টিটু নামের দুই যুবক শাহিন উদ্দিনকে জমির বিরোধ মেটানো হবে জানিয়ে ফোন করে ডেকে নেন। শাহিন উদ্দিন মোটরসাইকেলে পল্লবীর ডি-ব্লকের ৩১ নম্বর সড়কের ৪০ নম্বর বাসার সামনে গেলে সুমন ও টিটুসহ ১৪ থেকে ১৫ জন মিলে তাকে টেনেহিঁচড়ে ওই বাড়ির গ্যারেজে নিয়ে যায়।
এ সময় শাহিন উদ্দিনের ছয় বছরের ছেলে মাশরাফি গেটের বাইরে ছিল। গ্যারেজে ঢুকিয়ে তাকে চাপাতি, চায়নিজ কুড়াল ও রামদা দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। এরপর তাকে ওই গ্যারেজ থেকে বের করে ৩৬ নম্বর বাড়ির সামনে আবার কুপিয়ে ফেলে রেখে চলে যায়। ঘটনাস্থলেই শাহিনের মৃত্যু হয়।
এনআর/কেএ