সাঈদ খোকনের বিরুদ্ধে করা মামলার আদেশ বুধবার
রাজধানীর ফুলবাড়িয়া সুপার মার্কেটে (ব্লক-২) দোকানের বৈধতা দেওয়ার কথা বলে টাকা নেওয়ার অভিযোগে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) সাবেক মেয়র সাঈদ খোকনসহ সাতজনের বিরুদ্ধে করা মামলার আদেশের জন্য বুধবার (৩০ ডিসেম্বর) দিন ধার্য করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৯ ডিসেম্বর) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আশেক ইমাম এ আদেশ দেন।
এদিন সকালে সাবেক মেয়র সাঈদ খোকনসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন মার্কেটের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন। এরপর আদালত তার জবানবন্দি নিয়ে নথি পর্যালোচনায় আদেশ পরে দেবেন বলে জানান।
মামলার অপর আসামিরা হলেন- সাবেক প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা ইউসুফ আলী সরকার, উপ-সহকারী প্রকৌশলী মাজেদ, কামরুল হাসান, হেলেনা আক্তার, আতিকুর রহমান স্বপন এবং ওয়ালিদ।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শহিদুল ইসলামের আদালতে দেলোয়ার হোসেন এ মামলার আবেদন করেন। বাদীপক্ষের আইনজীবী ছিলেন নাহিদ ইসলাম চৌধুরী, মাসুদসহ আরও অনেকে।
মামলায় বাদীর অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, সাঈদ খোকন, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা ইউসুফ আলী সরদার ও উপ-সহকারী প্রকৌশলী মাজেদ পরস্পর যোগসাজশে এবং অন্যান্য আসামিরা মিলে দোকান বরাদ্দের নামে নকশাবহির্ভূত অবৈধ দোকান বরাদ্দ দেন। কিন্তু বর্তমান মেয়র ক্ষমতায় এসে নকশাবহির্ভূত অবৈধ দোকান ভেঙে ফেলেন। এতে অসহায় অনেক দোকান মালিকের কোটি কোটি টাকা ক্ষতি হয়। অনেক দোকানের মালিক গ্রাম থেকে জমিজমা বিক্রি করে দোকান বরাদ্দ নেন। বর্তমানে সবাই ক্ষতিগ্রস্ত।
বাদী দেলোয়ার হোসেন নিজেও ৩০ থেকে ৩৫ লাখ টাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বলে জবানবন্দিতে উল্লেখ করেন।
এদিকে, গত ৮ ডিসেম্বর ফুলবাড়িয়া সুপার মার্কেট এলাকার ৯১১ দোকানের বরাদ্দ অবৈধ জানিয়ে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। সেদিন উচ্ছেদ অভিযানের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেন ভুক্তভোগী দোকান মালিকেরা। সেদি সিটি করপোরেশনের বুলডোজার ফুলবাড়িয়া সুপার মার্কেট-২ এর অবৈধ স্থাপনা ভাঙা শুরু করলে বিক্ষোভরত ব্যবসায়ীরা ঢিল ছুড়তে শুরু করেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে অভিযানে থাকা পুলিশ সদস্যদের টিয়ার শেলও ছোড়েন।
এরপর ২৬ ডিসেম্বর ফুলবাড়িয়া সুপার মার্কেটে স্থায়ীভাবে বরাদ্দ চেয়ে দোকান মালিকরা ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) সংবাদ সম্মেলন করেন।
টিএইচ/এফআর