শুনানির জন্য অপেক্ষা, বই পড়ে সময় কাটাচ্ছেন ড. ইউনূস
শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগের মামলায় টানা চতুর্থবারের মতো সশরীরে শ্রম আদালতে হাজির হয়েছেন শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ও গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আদালতকক্ষে উপস্থিত হয়ে অপেক্ষমাণ আসনে বসে বই পড়ছেন তিনি।
এর আগে সোমবার (২০ নভেম্বর) দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে পুরাতন শ্রম ভবনে আসেন ড. ইউনূস। পরে দুপুর ১২টা ২৫ মিনিটে ভবনটির ৬ষ্ঠ তলায় তৃতীয় শ্রম আদালতে জেলা ও দায়রা জজ শেখ মেরিনা সুলতানার আদালতে হাজির হন ড. ইউনূস।
সরেজমিন দেখা গেছে, একইদিনে বিচারক শেখ মেরিনা সুলতানার আদালতে একাধিক মামলা থাকায় ১২টা ২৫ মিনিট থেকে ১টা ৫ মিনিট পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয় শান্তিতে নোবেলজয়ী এ অর্থনীতিবিদকে। এসময় তিনি আদালতকক্ষের ভেতরে অপেক্ষমাণ আসনের দ্বিতীয় সারিতে বসে বই পড়া শুরু করেন। বিচারক বিচারকার্য শুরুর পর তার পক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুনের যুক্তি-তর্ক উপস্থাপনকালেও তিনি বই পড়তে থাকেন।
আরও পড়ুন
শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগের মামলায় গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. ইউনূসের পক্ষে তার আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন ও ব্যারিস্টার খাজা তানভীর আহমেদ যুক্তি-তর্ক উপস্থাপন করছেন।
এর আগে ড. ইউনূসের আইনজীবী ব্যারিস্টার খাজা তানভীর আহমেদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, আজ চতুর্থবারের মতো সশরীরে ড. ইউনূস এ আদালতে উপস্থিত হয়েছেন। শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগের মামলায় আজ তার পক্ষে যুক্তি-তর্ক করা হবে।
এর আগে ২০২১ সালের ৯ই সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক তরিকুল ইসলাম বাদী হয়ে ড. ইউনূস সহ চার জনের বিরুদ্ধে ওই মামলা করেন। মামলায় শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে নির্দিষ্ট লভ্যাংশ জমা না দেওয়া, শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ী না করা, গণছুটি নগদায়ন না করার অভিযোগে শ্রম আইনের ৪-এর ৭, ৮, ১১৭ ও ২৩৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয়। এ মামলায় ড. ইউনূস ছাড়াও গ্রামীণ টেলিকমের এমডি মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহানকে বিবাদী করা হয়।
এমএম/এসএসএইচ