দুই কানাডিয়ান পুলিশকে আদালতে সাক্ষ্য দিতে সমন
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে নাইকো দুর্নীতি মামলায় দুই কানাডিয়ান পুলিশকে সাক্ষ্য দেওয়ার দেয়ার জন্য সমন পাঠানোর আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত। একইসঙ্গে আগামী ৩০ অক্টোবর কানাডার রয়েল কানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশের সদস্য কেবিন দুগ্গান ও লয়েড শোয়েপের সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত অস্থায়ী ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমানের আদালত এ তারিখ ধার্য করেন।
এদিন মামলাটির বাদী দুদকের সহকারী পরিচালক মাহবুবুল আলমকে জেরার দিন ধার্য ছিল। তবে খালেদা জিয়া অসুস্থ থাকায় আদালতে হাজির হতে পারেননি। তারপক্ষে আইনজীবী জিয়া উদ্দিন জিয়া হাজিরা দেন। এরপর খালেদা জিয়ার পক্ষে মাহবুবুল আলমকে জেরা করেন অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম। এছাড়া অন্যান্য আসামিদের পক্ষে জেরার জন্য সময় আবেদন করা হয়। আদালত সময় আবেদন মঞ্জুর করেন।
খালেদা জিয়ার আইনজীবী হান্নান ভূঁইয়া এসব তথ্য জানিয়েছেন।
এর আগে গত ১৯ মার্চ একই আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। ২০০৭ সালে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নাইকো দুর্নীতি মামলাটি দায়ের করে দুদক। দুদকের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম বাদী হয়ে রাজধানীর তেজগাঁও থানায় মামলাটি করেছিলেন। ২০০৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে দুদক আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়।
আরও পড়ুন
বাকিরা হলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, ইন্টারন্যাশনাল ট্রাভেল কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান সেলিম ভূঁইয়া ও নাইকোর দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।
এর মধ্যে এ কে এম মোশাররফ হোসেন ও ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান মারা যাওয়ায় মামলার দায় হতে তাদের অব্যাহতি দেওয়া হয়।
দুদকের অভিযোগপত্রে বলা হয়, ২০০১ থেকে ২০০৬ সালের মধ্যে সরকারে থাকাকালে খালেদা জিয়াসহ বেশ কয়েকজন ক্ষমতার অপব্যবহার করে কানাডার কোম্পানিটিকে অবৈধভাবে গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলনের সুবিধা পাইয়ে দেন। অভিযোগপত্রে আসামিদের বিরুদ্ধে প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার রাষ্ট্রীয় আর্থিক ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়।
এনআর/এমএসএ