নাইকো দুর্নীতি মামলায় সাক্ষ্য দিতে আসবেন যে ৩ বিদেশি
নাইকো দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ আটজনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য এক এফবিআই কর্মকর্তা ও দুই কানাডিয়ান পুলিশকে সাক্ষী হিসেবে হাজির করার অনুমতির আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
সাক্ষীরা হলেন─ যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (এফবিআই) অবসরপ্রাপ্ত সুপারভাইসরি এজেন্ট ডেব্রা ল্যাপ্রেভোট গ্রিফিথ, কানাডার রয়েল কানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশের সদস্য মিস্টার কেবিন দুগ্গান ও লয়েড শোয়েপ।
রোববার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদনটি মঞ্জুর করেন কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত অস্থায়ী ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমানের আদালত।
এদিন এই তিন বিদেশি নাগরিক নাইকো দুর্নীতি মামলায় আদালতে এসে সাক্ষ্য দিতে পারেন কি না সে বিষয়ে শুনানি হয়। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে সাক্ষ্য দেয়ার বিষয়ে যুক্তি তুলে ধরেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। আসামি পক্ষ থেকে এর বিরোধিতা করা হয়। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তিন বিদেশির সাক্ষ্য দেওয়ার আবেদন মঞ্জুর করেন।
গত ১২ সেপ্টেম্বর অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন সাক্ষীদের আদালতে হাজির করার অনুমতি চেয়ে আবেদন করেন। আদালত এ বিষয়ে শুনানির জন্য আজকের (১৭ সেপ্টেম্বর) দিন ধার্য করেন।
খালেদা জিয়ার আইনজীবী হান্নান ভূঁইয়া বিষয়টি জানিয়েছেন।
এর আগে গত ১৯ মার্চ একই আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।
২০০৭ সালে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নাইকো দুর্নীতি মামলাটি দায়ের করে দুদক। দুদকের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম বাদী হয়ে রাজধানীর তেজগাঁও থানায় মামলাটি করেছিলেন। ২০০৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে দুদক আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়।
বাকিরা হলেন─ বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, ইন্টারন্যাশনাল ট্রাভেল কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান সেলিম ভূঁইয়া ও নাইকোর দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।
এর মধ্যে এ কে এম মোশাররফ হোসেন ও ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান মারা যাওয়ায় মামলার দায় হতে তাদের অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
দুদকের অভিযোগপত্রে বলা হয়, ২০০১ থেকে ২০০৬ সালের মধ্যে সরকারে থাকাকালে খালেদা জিয়াসহ বেশ কয়েকজন ক্ষমতার অপব্যবহার করে কানাডার কোম্পানিটিকে অবৈধভাবে গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলনের সুবিধা পাইয়ে দেয়। অভিযোগপত্রে আসামিদের বিরুদ্ধে প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার রাষ্ট্রীয় আর্থিক ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়।
এনআর/এমএ