আসলাম চৌধুরীর বিরুদ্ধে দুদক কর্মকর্তার সাক্ষ্য
জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদের হিসাব বিবরণী দাখিল না করার অভিযোগে দুদকের দায়ের করা মামলায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরীর বিরুদ্ধে এক দুদক কর্মকর্তা সাক্ষ্য দিয়েছেন।
আজ (বৃহস্পতিবার) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক সৈয়দ আরাফাত হোসেনের আদালতে দুদকের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম সাক্ষ্য দেন। এদিন আসামিপক্ষ তাকে জেরা করেন। তার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আগামী ৪ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেছেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী তাহেরুল ইসলাম তৌহিদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গত ৮ জুন একই আদালত আসামি পক্ষের অব্যাহতির আবেদন নামঞ্জুর করে অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন। এর আগে ২০১৯ সালের ২৫ ডিসেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপপরিচালক মো. নাসির উদ্দিন দুদকের ঢাকা-১ সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে এই মামলা করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার দক্ষিণ ভাটিয়ারির বাসিন্দা আসলাম চৌধুরী ও তার স্ত্রী নাজনীল চৌধুরীর বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগের অনুসন্ধান শুরু হয়। অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে দুদকের উপপরিচালক ঋত্বিক সাহা ২০১৯ সালের ১৩ মে আসলাম চৌধুরী ও তার ওপর নির্ভরশীল ব্যক্তিদের নামে-বেনামে থাকা সম্পদ অর্জনের তথ্য দুদকে দাখিলের জন্য নোটিশ দেন। তিনি কারাবন্দি থাকায় কারাগারেও নোটিশ পাঠানো হয়। নোটিশ পেয়ে তিন মাস সময় চেয়ে আবেদন করেন। তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রথমে ২১ কর্মদিবস, এরপর আরও ১৫ কর্মদিবস সময় দেয় দুদক। কিন্তু তিনি ওই সময়ের মধ্যে সম্পদ বিবরণী দাখিল না করে কারা কর্তৃপক্ষের কাছে তিন মাস সময় চেয়ে ফের আবেদন করেন। সময় বৃদ্ধির সুযোগ নেই জানিয়ে তাকে নোটিশ দেওয়ার পরও তিনি সম্পদ বিবরণী দুদকে দাখিল করেননি। দুর্নীতি দমন কমিশনের আদেশ অনুযায়ী সম্পদ বিবরণী দাখিল না করায় মামলাটি দায়ের করা হয়।
মামলার তদন্ত শেষে ২০২২ সালের ২৯ ডিসেম্বর দুদকের উপ-পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেন।
এনআর/এনএফ