রিজভী আহমেদকে যেন ক্ষমা করে দেওয়া হয় : আদালতকে হিরো আলম
মানহানির অভিযোগ এনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন কন্টেন্ট ক্রিয়েটর আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম।
সোমবার (৭ আগস্ট) দুপুর ১২টায় ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলামের আদালতে মামলার আবেদন করেন তিনি।
আরও পড়ুন>>মানহানির অভিযোগে রিজভীর বিরুদ্ধে হিরো আলমের মামলা
এসময় জবানবন্দি দেওয়ার একপর্যায়ে তিনি বলেন, উনি (রিজভী) ক্ষমা চাইলে তাকে যেন মাফ করে দেওয়া হয়।
এসময় তার আইনজীবী মুনসুর আলী রিপন তাকে থামিয়ে মামলা দায়েরের সপক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেন। শুনানিতে তিনি বলেন, একজন মৃত মানুষের বিপক্ষেও মানহানিকর বক্তব্য দেওয়া উচিত নয়। আর হিরো আলম একজন পরিচিত মুখ। তিনি একাধিকবার সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। তাকে মামলার আসামি (রিজভী) যেভাবে কটূক্তি করেছেন সেটি কোনোভাবেই উচিত হয়নি।
আরও পড়ুন>>রিজভীর বিরুদ্ধে মামলা করতে আদালতে হিরো আলম
এরপর মামলাটি আমলে নিয়ে ডিবি পুলিশকে তদন্তের জন্য নির্দেশ দেন আদালত। একইসঙ্গে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত।
পরে আদালত থেকে নেমে হিরো আলম বলেন, আপনারা সবাই জানেন গত কয়েকদিন ধরে বিএনপির সিনিয়র নেতারাসহ অন্যান্য নেতারা বিভিন্ন সময়ে গালিগালাজ করে এবং ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ করে আমাকে নিয়ে কটূক্তি করেছে। আমার কথা হলো আমাকে সম্মান দিয়ে কথা না বললে আমার নামটা মুখে নেবেন না। আমাকে নিয়ে কথা বলার কোনো দরকার নেই। তাই আমি বিজ্ঞ আদালতকে বলেছি মানুষ ভুলের ঊর্ধ্বে নয়। মানুষ বলতেই ভুল হয়। তাই আমি এ মামলা করতে চাই না। তাকে (রিজভী) ক্ষমা করে দিতে বলেছি।
তিনি বলেন, ভবিষ্যতে কোনো বিএনপি নেতা কিংবা আওয়ামী লীগ নেতা বা যে কেউ যেন আমাকে নিয়ে এরকম ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ করে কথা না বলে সে বিষয়ে সতর্ক করে দিতে আমি আদালতকে অনুরোধ করেছি।
আজ মামলা দায়ের করেছেন কি না জানতে চাইলে হিরো আলম বলেন, আমি মামলা করিনি। তবে আমি আদালতকে বলেছি তার যদি ভুল হয় তাহলে যেন তাকে ক্ষমা করে দেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, গত ১৮ জুলাই রাজশাহী নগরীর ভুবন মোহন শহীদ মিনার পার্কে বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচির উদ্বোধনকালে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী হিরো আলমকে ‘অর্ধপাগল’ হিসেবে অভিহিত করেন। এসময় রিজভী সরকারের সমালোচনা করতে গিয়ে বলেছিলেন, ঢাকা-১৭ আসনে হিরো আলমের মতো একটা ‘অর্ধপাগল’ নির্বাচন করছে। তার সঙ্গেও সরকার সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে ভয় পায়।
এনআর/কেএ