জামায়াতের মিছিল-মিটিং নিষিদ্ধের আবেদন শুনবেন আপিল বিভাগ
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন নিয়ে চলা মামলার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত দলটির মিছিল-সমাবেশসহ সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনের ওপর নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন আগামী বৃহস্পতিবার আপিল বিভাগের কার্যতালিকায় থাকবে।
আবেদনটি দ্রুত শুনানির জন্য বৃহস্পতিবার আপিল বিভাগের কাছে আইনজীবীরা প্রার্থনা জানালে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী এ কথা বলেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার তানিয়া আমীর ও অ্যাডভোকেট আহসানুল করিম বলেন, জামায়াতে ইসলামীর মিছিল-সমাবেশ নিষিদ্ধ চেয়ে ও জামায়াতের নেতাদের বিরুদ্ধে আমরা আদালত অবমাননার আবেদন করেছি। এর মধ্যে জামায়াত ৪ আগস্ট সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে। তাই আবেদনটি দ্রুত শুনানি হওয়া দরকার।
তখন প্রধান বিচারপতি বলেন, আগামী বৃহস্পতিবার আবেদনটি কার্যতালিকায় ৩৫ ক্রমিকের মধ্যে থাকবে।
এর আগে গত ২৬ জুন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন নিয়ে চলা মামলার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত দলটির মিছিল-সমাবেশসহ সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনের ওপর নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করা হয়।
আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে মাওলানা সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরীর পক্ষে এ আবেদন করেন ব্যারিস্টার তানিয়া আমীর।
এ ছাড়া আদালতে মামলা বিচারাধীন থাকা অবস্থায় সমাবেশ করে রেজিস্ট্রেশন দাবি করায় আদালত অবমাননার অভিযোগ এনে পৃথক আরেকটি আবেদন করেন মাওলানা রেজাউল হক চাঁদপুরী। এটিও দাখিল করেন ব্যারিস্টার তানিয়া আমীর।
এই আবেদনের পর ব্যারিস্টার তানিয়া আমীর বলেছিলেন, আমরা দুটি আবেদন করেছি। একটা হচ্ছে হাইকোর্টের রায় বলবৎ থাকার পরও ১০ বছর পরে জামায়াত কর্মসূচি পালন করেছে। আমরা জামায়াতের সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনের ওপর নিষেধাজ্ঞা চেয়েছি। আরেকটি আদালত অবমাননার। কারণ তারা রাজনৈতিক কর্মসূচির মাধ্যমে নিবন্ধন ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি করেছে, যেখানে আদালত অবমাননার বিষয় আছে। অথচ হাইকোর্টের রায়ে তাদের নিবন্ধন অবৈধ।
আদালত অবমাননর আবেদনে বিবাদী করা হয়- জামায়াতের আমির ডা.শফিকুর রহমান, সেক্রেটারি জেনারেল ড. গোলাম পরওয়ার, নায়েবে আমির ডা. আব্দুল্লা মোহাম্মদ তাহের, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জামায়াতের আমির নুরুল ইসলাম বুলবুল, নায়েবে আমির অ্যাডভোকেট হেলাল উদ্দিন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান, পুলিশের মহাপরিদর্শক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন ও ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার খোন্দকার গোলাম ফারুককে।
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ, দলের আমির ডা. শফিকুর রহমানসহ জাতীয় নেতা ও ওলামায়ে কেরামের মুক্তি এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার দাবিতে গত ১০ জুন রাজধানীতে সমাবেশ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
এমএইচডি/এনএফ